ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ার স্পেশাল ইকনমিক জোনে ভারতকে বিনিয়োগের আহ্বান

প্রকাশিত: ০০:১৩, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কুষ্টিয়ার স্পেশাল ইকনমিক জোনে ভারতকে বিনিয়োগের আহ্বান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের বিভিন্নর স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকনমিক জোন তৈরী করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার, এখন ৩০টি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রস্তাবিত কুষ্টিয়ার স্পেশাল ইকনমিক জোনে ভারতের বিনিয়োগকারীগন বিনিয়োগ করতে পারেন। এখানে বিনিয়োগ ভারতের ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক হবে। মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে দূর করে বাণিজ্যের পরিধি বৃদ্ধি করা হবে। বর্ডার হাট বাংলাদেশ এবং ভারতের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। উভয় দেশের মানুষ আরো বর্ডার হাট চাচ্ছেন। উভয় দেশের সরকার বর্ডার হাটের সংখ্যা ও পরিধি বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। আগামী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চলমান বাণিজ্য সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী রবিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত কাঁচা পাট ভারতে রপ্তানির বিষয়ে সমস্যা সমাধানে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, ভারতের অনেক শিল্প কারখানা বাংলাদেশের কাঁচা পাটের উপর নির্ভরশীল, তাই দ্রুত সমস্যাটির সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করেছে ৫,৮১১.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে বাংলাদেশ ভারতে রপ্তানি করেছে ৫২৭.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ৫,২৮৪.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্যের অনেক কাঁচামাল ভারত থেকে আমদানি করে আমেরিকা, ইউরোপিয়ন ইউনিয়নসহ উন্নত বিশে^ রপ্তানি করে যাচ্ছে। ভারত বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করেছে। ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে। ২০১৩-২০১৪ সালের তুলনায় গত বছর বাণিজ্য ঘাটতি কমে এসেছে। চলমান বাণিজ্য বাধা সমুহ দূর করা গেলে ভারতে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি আরো বাড়বে। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্তি সচিব (এফটিএ) মনোজ কুমার রায় এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. আদরশ শৈখা উপস্থিত ছিলেন। ##
×