ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ ক্ষমার অযোগ্য ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

খালেদার ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ ক্ষমার  অযোগ্য ॥  নাসিম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ এবং শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কটূক্তির প্রতিবাদে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটায় রাজধানীতে মানববন্ধন করবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। রবিবার দুপুরে ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দলের এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের লাখ লাখ নেতাকর্মী এতে অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ১৪ দল। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে মানববন্ধন কর্মসূচীতে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এ প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করা হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও খালেদা জিয়ার ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। সার্কভুক্ত দেশ হওয়ায় সার্ক ফোরামে পাকিস্তানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ১৪ দলের পক্ষ থেকে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, অত্যন্ত লজ্জাজনকভাবে আজ পাকিস্তান আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা শুরু করেছে। দেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নব উত্থান হয়েছে তখন যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের বক্তব্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়। শুধু তাই নয়, তারা বাংলাদেশের দূতাবাসে আক্রমণ করেছে, আমাদের কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করেছে। ১৯৫ পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী সামরিক কর্মকর্তাদের বিচার না করে পাকিস্তান শিমলা চুক্তি লংঘন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের দোসর হিসেবেই বিএনপি নেত্রী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। জাতির কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ॥ এছাড়া নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সারা বছরই বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ায় মানুষ এখন নিরাপদ খাদ্যের দিকে নজর দিতে পারছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্যেও বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করে তোলা সম্ভব। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারলে উৎপাদিত সব খাদ্য অনেক ক্ষেত্রে পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে না। বরং স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সমন্বিতভাবে কাজ করলে এক্ষেত্রে প্রত্যাশিত সফলতা আসবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হলে দেশের মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থারও ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। রবিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ বিটউইন দ্যা নেদারল্যান্ড এ্যান্ড বাংলাদেশ : ফুড সিকিউরিটি এ্যান্ড সেফটি, সেক্সুয়াল এ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ’ শীর্ষক প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), কেয়ার বাংলাদেশ ও একশনএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
×