ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিখোঁজের ৬ দিন পর যুবলীগ নেতার লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০১:১৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিখোঁজের ৬ দিন পর যুবলীগ নেতার লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট এলাকায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নিখোঁজের ৬দিন পর লক্ষ্মীদর পাড়ার একটি ডোবা থেকে যুবলীগ নেতা রাসেল (২৫) লাশ সোমবার দুপুরে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে যুবলীগ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল ৃকরেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত যুবলীগ নেতা রাসেল একই এলাকার মৃত নোয়াব আলীর ছেলে ও ভোলাকোট ইউপিনয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। স্থানীয় যুবলীগ ও নিহতের আত্মীীয়স্বজন জানায়, বুধবার রাত ৯টায় রামগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই মোঃ জহিরুল ইসালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দেবনগর ও ভোলকোটে টহল দেয়। এ সময় মোতালেব ইটভাটার পার্শ্বে রাস্তার ওপর যুবলীগ নেতা রাসেলের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে পুলিশ। একই সময় মোটরসাইকেল রেখে যুবলীগ নেতা রাসেল দৌড় দিলে পেছন থেকে পুলিশও তাকে ধাওয়া করে। রাসেলের ব্যবহৃত মোটরসমাইকেল ও হেলমেট পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে রাসেল নিখোঁজ ছিল। পরের দিন দেবনগর মাঠে রাসেলের জামা কাপড় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত রাসেলর মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে রোববার বিকেলে রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। সোমবার সকালে রাসেলের লাশ ডোবা ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়ার পরও দীর্ঘ তিন ঘন্টা পুলিশ ঘটনাস্থলে না আসায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ আসার খবরে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দেয় উত্তেজনা। এ সময় জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচারেরর দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও যুবলীগের নেতাকমীরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আশ্বাস দেয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ দিকে নিহতের আতœীয়স্বজন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান জুয়েল এবং প্রত্যক্ষদর্শী মোবারক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রাসেল যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে ভোলাকোট ৮নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। পুলিশ তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাওয়া দেয় এবং পরিকল্পিতভাবে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে দাবী করেন তারা। নিহতের রাসেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন এবং গাড় ভাঙ্গা রয়েছে বলে জানান ভোলাকোট ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান জুয়েল। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোতা মিয়া বলেন, তবে পুলিশ অভিযান চলাকালে ধাওয়া খেয়ে সে পালিয়ে যায়। সে অপরাধী না হলে পালানোর কথা নয়। তবে হত্যাকান্ডের সাথে পুলিশ সদস্যরা জড়িত নয় বলে তাঁর দাবী। তিনি জানান, তার পেন্টের মানি ব্যাগে নগদ নয় হাজার দু’শ ৭৫ টাকা, ছয়টি ইয়াবা টেবলেট ও দু’টি ঘুমের বড়ি পাওয়া গেছে। সুরত হাল রিপোর্টে তাঁর গাড় ভাঙ্গা ছিলো বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। হত্যাকারী যে হোক তদন্তের পর দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×