ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিখোঁজ স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমল গুপ্তের সন্ধান মেলেনি ৯ দিনেও

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নিখোঁজ স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমল গুপ্তের সন্ধান মেলেনি ৯ দিনেও

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নয় দিনের হদিস মেলেনি রাজধানী থেকে নিখোঁজ হওয়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী অমল গুপ্তের। তাঁর ভাগ্যে কি জুটেছে তা আজও অজানা। তিনি সত্যি সত্যিই নিখোঁজ হয়েছেন, নাকি অপহরণের পর গুম হয়েছেন সে সর্ম্পকেও কোন তথ্য মেলেনি। যদিও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অমল গুপ্তের মুক্তিপণের জন্য কেউ কোন যোগাযোগ করেনি। গত ৩১ জানুয়ারি বেলা পৌনে বারোটার দিকে অমল গুপ্ত রাজধানীর কাকরাইলের ১০৪ নম্বর আইরিশ নূরজাহান ব্লিডিংয়ের নিজ ফ্ল্যাট থেকে বের হন। পুরনো ঢাকার তাঁতীবাজারে অবস্থিত আল্পনা বুলিয়ান নামের স্বর্ণের দোকানের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর একটার দিকে তিনি স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে ঝামেলায় আছেন বলে জানান। এরপর থেকেই তাঁর আর কোন হদিস নেই। এ ব্যাপারে অমল গুপ্তের স্ত্রী আল্পনা গুপ্ত রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অভিযোগে তিনি বলেন, তার স্বামীকে অনৈতিক উদ্দেশ্যে বা লেনদেন সংক্রান্ত কোন বিষয়াদির জেরধরে অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হতে পারে। স্বামীকে অপহরণের পর অজ্ঞাতস্থানে রাখার সঙ্গে তার স্বামীর ব্যবসায়িক পার্টনার মহসীন, হাশেম, হাশেমের বড়ভাই তোরাব, সামাদ ও নিজাম জড়িত থাকতে পারে। সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের সঙ্গে নিখোঁজ অমল গুপ্তের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে মোবাইল ফোনে তুমুল ঝগড়া হয়। অমল গুপ্তকে দ্রুত উদ্ধার করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অমল গুপ্তের স্ত্রী আল্পনা গুপ্তের বড় ভাই বিশিষ্ট সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব মনোজ সেনগুপ্তসহ অমল গুপ্তের পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে রমনা মডেল থানার ওসি মশিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে হাশেমকে রাজশাহী থেকে আটক করা হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে অমল গুপ্ত নিখোঁজের সঙ্গে হাশেমের কোন সংশ্লিষ্টতার তথ্য মেলেনি। এজন্য তাকে মুচলেকায় তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে। তবে সোমবার পর্যন্ত অমল গুপ্তের কোন হদিস মেলেনি। এমনকি অমল গুপ্তকে মুক্তি দিতে মুক্তিপণ হিসেবে কেউ কোন কিছু দাবিও করেনি। ইফা প্রকাশ করল ‘মুক্তিযুদ্ধের ঈদ’ সারাদেশে চলছে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে ২০ নবেম্বর ’৭১, শনিবার আসে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। পাকিস্তানের ধর্মীয় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সেই ঈদ ছিল পুরো জাতির জন্য এক কঠিন পরীক্ষা। ১৯৭১ সালের সেই ঈদের অনুপুঙ্খ বিবরণসমৃদ্ধ গ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধের ঈদ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ‘মুক্তিযুদ্ধের ঈদ’ গ্রন্থে মুজিবনগরে ঈদ, রণাঙ্গনে ঈদ, অবরুদ্ধ ঢাকায় ঈদ, শরণার্থী শিবিরে ঈদ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ঈদ, রণাঙ্গনের পত্র-পত্রিকায় ঈদ, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ঈদ ও এ্যালবাম অধ্যায় রয়েছে। গ্রন্থটিতে নজরুল ইসলাম, এম আর আখতার মুকুল, লে. কর্নেল এসআই নুরুন্নবী খান বীরবিক্রম, মেজর রেজাউল করিম রেজা, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জাহানারা ইমাম, হাশেম খান, বেগম মুশতারী শফী ও আহমদ মমতাজের লেখা এবং দুর্লভ অসংখ্য দলিলপত্র রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ঈদ গ্রন্থটি সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন আনোয়ার কবির, প্রচ্ছদ জসিম উদ্দিন, পৃষ্ঠা ১২০, মূল্য ৭৬ টাকা। বাংলা একাডেমির বইমেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টল, বায়তুল মুকাররম কেন্দ্রীয় বিক্রয় কেন্দ্রসহ সারাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যাবে। -বিজ্ঞপ্তি
×