ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রিয়াল মাদ্রিদের ঘাম ঝরানো জয়

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রিয়াল মাদ্রিদের ঘাম ঝরানো জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অল্পের জন্য ধাক্কা খাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। রবিবার রাতে স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে অতিকষ্টে গ্রানাডাকে ২-১ গোলে পরাজিত করে গ্যালাক্টিকোরা। এ্যাওয়ে ম্যাচে রিয়ালের হয়ে গোল করেন ফরাসী ফুটবলার করিম বেনজেমা ও ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মডরিচ। স্বাগতিক গ্রানাডার হয়ে একটি গোল করেন এল আরাবি। পরশুর অন্য ম্যাচ রিয়াল বেটিস ১-০ গোলে ভ্যালেন্সিয়াকে হারায় ও সেল্টা ডি ভিগো-সেভিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। এই জয়ে পয়েন্টে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২৩ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে বার্সিলোনা। লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে গ্রানাডা। অন্যদিকে শিরোপার অন্যতম প্রধান দাবিদার রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপের অন্যতম সেরা এই ক্লাব গ্রানাডার বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিতে পারবে এমন প্রত্যাশাই হয়ত করেছিলেন অনেকে। কিন্তু গ্রানাডাকে কোন রকমে হারাতে পেরেছে জিনেদিন জিদানের দল। ম্যাচের ৩০ মিনিটে প্রথম গোল করেন ফরাসী ফরোয়ার্ড বেনজেমা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটে মাথায় খেলায় সমতা ফেরায় গ্রানাডা। ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামার দুই মিনিট পরই ম্যাচের সমতাসূচক গোলটি করেন স্ট্রাইকার ইউসেফ এল আরাবি। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ার আশঙ্কাই ভর করেছিল রিয়াল সমর্থকদের মনে। কিন্তু ৮৫ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে স্বস্তি ফেরান মডরিচ। মাটেও কোভাচিচের পাস থেকে বল পেয়ে করেন ম্যাচের জয়সূচক গোল। শেষ মুহূর্তের এই গোলে রিয়ালও মাঠ ছাড়ে ২-১ গোলের ঘাম ঝরানো জয় নিয়ে। পয়েন্ট হারাতে বসা রিয়াল মাদ্রিদকে শেষদিকে দারুণ গোলে জয় এনে দেয়া মডরিচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ জিনেদিন জিদান। বিদ্যুত গতির শটের মতো ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডারের পায়ে এমন আরও শট দেখতে চান এই ফরাসী কোচ। ২৫ গজ দূর থেকে আচমকা শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মডরিচ। তাতেই প্রতিপক্ষের মাঠে তিন ম্যাচ পর জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের। ম্যাচ শেষে মডরিচের প্রশংসায় জিদান বলেন, সে চমৎকার একটি গোল করেছে এবং আমাদের বাঁচিয়েছে। সবকিছুর উপরে সে আমাদের তিনটি পয়েন্ট এনে দিয়েছে। এ জন্য আমি খুশি। মাঝে মধ্যেই তার শট নেয়া উচিত কারণ তার পায়ে ভাল শট আছে। ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঠিক এমনই আরেকটি শট নিয়েছিলেন মডরিচ। কিন্তু সে যাত্রায় গ্রানাডাকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক আন্দ্রেস ফার্নান্ডেজ। বছরের শুরুতে সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে কোচ হিসেবে যোগ দেয়া জিদানের অধীনে রিয়ালের এটা প্রথম ‘এ্যাওয়ে ম্যাচে’ জয়। তার অধীনে ঘরের মাঠে তিনটি ম্যাচ সহজে জিতলেও প্রতিপক্ষের মাঠে ব্যর্থতার গ-িতেই বন্দী ছিল দলটি। গত মাসে রিয়াল বেটিসের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। এ্যাওয়ে ম্যাচে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়ে দারুণ খুশি জিদান বলেন, খেলোয়াড়দের মনোভাবে আমি খুশি। ম্যাচটি আমরা সহজে জিততাম না। আমি খুবই গর্বিত। লেভান্তের মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফেরে বার্সিলোনা। কাতালান ক্লাবটির দায়িত্ব নেয়ার পর এটি ছিল লুইস এনরিকের শততম ম্যাচ। এই জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করার পাশাপাশি স্পেনের ক্লাবগুলোর মধ্যে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে গত মৌসুমে ট্রেবল জেতা দলটি। ম্যাচ শেষে এনরিকে বলেন, মৌসুম শেষ হওয়ার পর আমি আপনাদের বলব আমরা ভাল কিছু করেছি কি না। আমি সংখ্যায় পাত্তা দেই না। দল হিসেবে আমরা যে গোলগুলো পাই আমি সেগুলোতে আর লীগ জয়ে আগ্রহী।
×