ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশুকন্যার গলা কেটে পিতার আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শিশুকন্যার গলা কেটে পিতার আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ ৯ ফেব্রুয়ারি ॥ রাবেয়া আক্তার নামে ১৫ মাসের কন্যাশিশুকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর ওই ছুরি দিয়েই নিজ বুকে আঘাত করে এবং পরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে জামিল হোসেন (৪০) নামে এক পাষ- বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার আঙ্গারগাড়া বড়চালা বেলাপাগলামোড় এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আঙ্গারগাড়া বড়চালা বেলাপাগলা এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে ভ্যানচালক জামিল হোসেন স্ত্রী সাবিনা আক্তার (৩০), দুই ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (১১), শাহ্পরান (৪) ও শিশুকন্যা রাবেয়াকে নিয়ে জীবনযাপন করে আসছিল এবং বেশ ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এলাকাবাসী জানান, জামিল হোসেন দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের একজন আশেকান (ভক্ত) এবং বাড়ির পেছনে আলাদা একটি ঘর তৈরি করে দরগাশরীফের শামিয়ানা টানিয়ে তাতে ফজরের নামাজের পর প্রতিদিনই তালিম করতেন। মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর জামিল হোসেন তার শিশুকন্যা রাবেয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশে একটি দোকানে যান এবং রাবেয়ার জন্য কিছু চকোলেট কিনে আনেন। পরে তালিমের ঘরে গিয়ে ছুরি দিয়ে রাবেয়াকে জবাই করে হত্যা করে । শিশুকন্যাকে হত্যার পর ওই ছুরি দিয়েই নিজের বুকে আঘাত করে এবং বিষপান করে। ঘটনাটি টের পেয়ে স্ত্রী সাবিনা আক্তার ও বাড়ির লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় জামিলকে ভালুকা হাসপাতালে আনার পথে সে মারা যায় । জামিলের পিতা নুর মোহাম্মদ জানান, আমার ছেলে স্থানীয় এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিল । ঋণ পরিশোধ নিয়ে সে কিছুদিন যাবত মানসিকভাবে অস্থির ছিল। ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন অর রশিদ বলেন, নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জামিলের সঙ্গে কারও কোন বিরোধ ছিল না। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে নিজে আত্মহত্যা করার আগে মেয়েকে হত্যা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্ত করা হবে। আর পুরো বিষয়টিতে কোন অপরাধ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
×