ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে প্রতিমন্ত্রী

বকেয়া বিদ্যুত বিলের পরিমাণ ৫ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বকেয়া বিদ্যুত বিলের পরিমাণ ৫ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা

সংসদ রিপোর্টার ॥ গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে বর্তমানে বকেয়া বিদ্যুত বিলের পরিমাণ ৫ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা বলে সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানান, এ সকল বকেয়া বিদ্যুত বিল আদায়ের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বেগম সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে কমবেশি দৈনিক ২ হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। এ সরকার ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের সময় গ্যাসের গড় দৈনিক উৎপাদন ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দৈনিক ২ হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, বিগত সাত বছরে গ্যাসের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেলেও চাহিদা অধিক হারে বাড়তে থাকায় সরবরাহের তুলনায় ঘাটতি এখনও প্রায় দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের মধ্যে ৫৩টি অনুসন্ধান কূপ খনন, ৩৫টি উন্নয়ন কূপ খনন এবং ২০টি কূপের ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ সকল কূপ হতে আনুমানিক দৈনিক ৯৪৩ থেকে ১ হাজার ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এক বছরে ৯০ মিলিয়ন ডলারের ইলেকট্রিক সামগ্রী রফতানি ॥ গত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দেশীয় বিভিন্ন ইলেকট্রিক পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করে ৯০ দশমিক ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, দেশীয় তৈরি ইলেকট্রনিক পণ্য বহির্বিশ্বে রফতানি হয়ে থাকে। বিগত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে টেলিভিশন, ট্রান্সফরমার, ইলেকট্রিক কেবল, জেনারেটর, গাড়ির যন্ত্রাংশ, সার্কিট, ইলেকট্রিক সুইচ, রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি পণ্য বিভিন্ন দেশে রফতানি করে ৯০ দশমিক ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।
×