ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কাল ভারত বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের বৈঠক

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কাল ভারত বাংলাদেশ যৌথ কমিশনের বৈঠক

বিশেষ প্রতিনিধি॥ আগামীকাল শুক্রবার ঢাকায় বসবে বাংলাদেশ ভারত যৌথ কমিশনের বৈঠক। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে চলতি শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশে গঙ্গার সবচেয়ে কম পানি প্রবাহের কথা তুলে ধরা হবে এ বৈঠকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে কম পানি আসলে হুমকির মুখে পড়বে বাংলাদেশের রবিশস্য উৎপাদন এবং জীববৈচিত্র্য। এ অবস্থায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের সাথে শুধু গঙ্গা নয়, ৫৪ অভিন্ন নদী ইস্যুতেই স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, যা দেশের মোট আয়তনের ৩৭ শতাংশ এলাকা- গঙ্গা নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। ভারতের হুগলি ভাগিরথী নদীতে ৪০ হাজার কিউসেক পানি সরিয়ে নেয়ার জন্য ১৯৭৫ সালে নির্মিত ফারাক্কা বাধ চালু হলে তখন থেকেই এ অঞ্চলের কৃষি, মৎসসহ সামগ্রিক জীবনযাত্রায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ১৯৯৬ সালে সম্পাদিত গঙ্গা চুক্তিতে বলা হয়, কোন অবস্থায় যেকোন ১০ দিন ফারাক্কায় পানি প্রবাহ ৫০ হাজার কিউসেকের নিচে নেমে গেলে দুই দেশ অবিলম্বে আলোচনায় মিলিত হবে। যৌথ নদী কমিশনের তথ্য বলছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম ১০ দিন যেখানে বাংলাদেশ ৭০ হাজার কিউসেক পানি পেয়েছে, চলতি বছরের এ সময়টায় পেয়েছে ৩৫ হাজার কিউসেক। এ অবস্থাকে বাংলাদেশের সার্বিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, 'এটা একটা বড় ধরণের পরিবেশগত সঙ্কট। এতে দেশে মরুকরণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। পানির প্রবাহ কমে গেলে চাষাবাদ ব্যাহত হবে।' পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, যৌথ কমিটির বৈঠকে বিষয়টি তোলার পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে তারা। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, 'পানি কম পাওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে অবহিত করেছি। আমাদের পররাষ্ট্র সচিব কিছুদিন আগে যখন দ্বি-পাক্ষিক মিটিং করতে ভারত গেলেন তাকেও এই কনসার্ন জানানো হয়েছে তিনি যেন সেটা ভারতের কাউন্টার পার্টের সঙ্গে সেটা আলোচনা করেন।' ঢাকায় শুক্রবার যৌথ কমিশনের এই ৬২তম সভায় গঙ্গায় পানি পাওয়ার বিষয়টি জোর দিয়ে উত্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বলছে, অভিন্ন সব নদী নিয়েই আলোচনা এগুচ্ছে ভারতের সাথে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে প্রস্তাবনা অনেক আগে থেকেই ছিল। ভারতের থিংক ট্যাঙ্ক যারা এটার বিশেষজ্ঞ তাদের কাছ থেকে আমরা মতামত পেয়েছি যে জয়েন্ট রিভার মেনেজম্যান্টে যাওয়া উচিত।' ##
×