ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জার্মানিতে ৯৩ বছর বয়সী নাৎসি রক্ষীর বিচার শুরু

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জার্মানিতে ৯৩ বছর বয়সী নাৎসি রক্ষীর বিচার শুরু

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে নাৎসি অধিকৃত পোল্যান্ডের আউশভিৎস বন্দীশালায় রক্ষী হিসেবে কাজ করা ৯৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিচার জার্মানিতে শুরু হয়েছে। খবর ওয়েবসাইটের। কনসেনট্রেশন ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত নাৎসি বন্দীশালাগুলোর মধ্যে আউশভিৎস ছিল সবচেয়ে কুখ্যাত। এই বন্দীশালায় ১১ লাখেরও বেশি ইহুদীকে হত্যা করেছিল নাৎসি বাহিনী। এই ক্যাম্পের সাবেক রক্ষী রেইনহোল্ড হ্যানিংয়ের বিরুদ্ধে অন্ততপক্ষে এক লাখ ৭০ হাজার মানুষকে হত্যায় সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি হচ্ছেন এ ধরনের অভিযোগের মুখে থাকা অত্যন্ত বয়োবৃদ্ধ চারজনের প্রথমজন যার বিচার শুরু হলো। নব্বই বছরের বেশি বয়সী এই চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় ডেটমোল্ড শহরে হ্যানিংয়ের বিচার শুরু হয়। ১৯৪২ সালে ২০ বছর বয়সী হ্যানিং আউশভিৎস বন্দীশিবিরে রক্ষী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন জার্মানির সরকারী আইন কর্মকর্তারা। ১৮ বছর বয়সে তিনি স্বেচ্ছায় নাৎসিদের এসএস বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর দিকে তিনি পূর্ব ইউরোপে লড়াইয়ে অংশ নেন। ১৯৪২ সালের জানুয়ারিতে তাকে আউশভিৎস কারাগারে বদলি করা হয়। এখানে ১৯৪৪ সালের জুন পর্যন্ত তিনি রক্ষী হিসেবে কাজ করেন। ডর্টমন্ডের আইন কর্মকর্তার দফতর হ্যানিংকে অভিযুক্ত করে। এ ছাড়া হাঙ্গেরী, ইসরাইল, কানাডা, গ্রেট ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি তার বিরুদ্ধে ৩৮টি যৌথ অভিযোগ এনেছে। আউশভিৎস বন্দীশিবিরে ওই সময়ের প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগেরও মুখোমুখি হতে হবে তাকে। এদের মধ্যে একজন এর্না দ্য ভ্রিস। ১৯৪৩ সালে ২৩ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে তাকে আউশভিৎসে পাঠানো হয়। ইহুদী মা, প্রোটেস্ট্যান্ট পিতার সন্তান ভ্রিসকে ‘ইহুদী দোঁআশলা’ বিবেচনায় গ্যাস চেম্বারে না পাঠিয়ে শ্রমশিবিরে পাঠানো হয়। বিচার শুরুর আগে ড্রিস বলেন, আমি বেঁচে আছি, কিন্তু আমার মাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানি না।
×