ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঋণপত্র কমলেও বেড়েছে নিষ্পত্তি

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ঋণপত্র কমলেও বেড়েছে নিষ্পত্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার কমলেও নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে ৬৬৪ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭১৩ কোটি ৭ লাখ ডলার। সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার ১ দশমিক ০৪ শতাংশ কমেছে। তবে এ সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার অনেক কমে গেছে। তবে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ছয় মাসে খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল ও গমের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৬৪ কোটি ৬১ লাখ ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ কোটি ৫০ লাখ। সে হিসেবে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে ২৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ। গেল ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তার আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছিল ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ ও দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ সময়ে পেট্রোলিয়াম তথা জ্বালানি তেল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১১৮ কোটি ডলার, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ শতাংশ কম। গেল অর্থবছরের একই সময়ে এই পণ্যটির এলসি খোলা হয়েছিল ২০৭ কোটি ডলারের। এ সময়ে পেট্রোলিয়াম পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৪৪ কোটি ডলার, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ শতাংশ কম। প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ২৪০ কোটি ডলার, যা গেল অর্থবছরের ছয় মাসে ছিল ১৮৬ কোটি ডলার। সে হিসেবে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা বেড়েছে ২৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মুরগির বাচ্চা আমদানি বন্ধের দাবি খুলনা পোল্ট্রি সমিতির স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ পোল্ট্রি মুরগির ১ দিনের লেয়ার, ব্রয়লার, ককরেল ও সোনালি জাতের জীবন্ত বাচ্চার দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরাই পথে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে ভারতীয় নিম্নমানের মুরগির বাচ্চা। মুরগির বাচ্চার মূল্য বৃদ্ধি ও চেরাই পথে অবাধে ভারতীয় মুরগির বাচ্চার অনুপ্রবেশের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড মালিক সমিতি। বুধবার দুপুরে সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় মুরগির বাচ্চার মূল্য বৃদ্ধি ও ভারতীয় বাচ্চা আমদানি বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মাওলানা ইব্রাহিম ফয়জুল্লাহ। সভায় বক্তারা বলেন, কোন কারণ ছাড়াই মুরগির বাচ্চার অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অবৈধ উপায়ে ভারতীয় নি¤œ মানের বাচ্চা বিভিন্ন সীমান্ত পথে অবাধে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এতে পোল্ট্রি খামারিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। হুমকির মধ্যে পড়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ও বিকশিত পোল্ট্রি শিল্প। সভায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, বিজিবি, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে জোর দাবি করা হয়।
×