ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জার্মান কাপ, গার্ডিওলার সেরা ছাত্র লেভানডোস্কি

সেমিফাইনালে বেয়ার্ন মিউনিখ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সেমিফাইনালে বেয়ার্ন মিউনিখ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানডোস্কির নৈপুণ্যে জার্মান কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বেয়ার্ন মিউনিখ। বুধবার রাতে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে বেয়ার্ন ৩-০ গোলে পরাজিত করে স্বাগতিক বোচহামকে। বাভারিয়ানদের হয়ে জোড়া গোল করেন তুখোড় ফর্মে থাকা লেভানডোস্কি। এই জয়ে চলতি মৌসুমে ট্রেবল জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পেপ গার্ডিওলার দল। বোচহামের রিউরপাওয়া স্টেডিয়ামে আতিথিয়েতা নেয় জার্মান পরাশক্তি বেয়ার্ন। একতরফা খেলতে থাকা বেয়ার্নকে অবশ্য প্রথম গোলের জন্য ৩৮ মিনিটে অপেক্ষা করতে হয়। ৩৯ মিনিটে টমাস মুলারের সহায়তায় বেয়ার্নের হয়ে হয়ে গোল করেন স্ট্রাইকার লেভানডোস্কি। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে বোচহাম ফুটবলার জান সিমুনিক মারাত্মক ফাউল করলে রেফারি তাকে লালকার্ড দেখান। পেনাল্টি পায় অতিথিরা। কিন্তু স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ব্যর্থ হন তারকা ফরোয়ার্ড মুলাল। বিরতির পর ৬১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি করেন থিয়াগো আলকান্টারা। এই গোলেরও যোগানদাতা জার্মান স্ট্রাইকার মুলার। আর ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আরিয়ান রোবেনের সহযোগিতায় নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন লেভানডোস্কি। ম্যাচ শেষে পোলিশ এই তারকা বলেন, প্রথম গোলের আগে আমার কাছে কোনকিছুই সহজ ছিল না। বোচহামের ফুটবলাররা অনেক ভাল খেলেছে। তারা সবসময়ই বিপজ্জনক ছিল। বোচহাম কোচ জার্টজান ভারবিক রেফারির সিদ্ধান্তে নাখোশ। ম্যাচ শেষে তিনি লালকার্ডের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন। ভারবিক বলেন, আমার ধারণা ওটা ফাউল ছিল না। রোবেন ইচ্ছাকৃতভাবে মাটিতে লুটোপুটি খেয়েছে। বেয়ার্নের মতো দলের বিপক্ষে ১০ জন নিয়ে খেলা সহজ নয়। লালকার্ডটা আমাকে বিস্মিত করেছে। লিওনেল মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি হার্নান্দেজ, ফিলিপ লাম এমন আরও অনেক প্রতিষ্ঠিত ফুটবলার খেলেছেন গার্ডিওলার অধীনে। এদের মধ্যে কে সেরা তার দৃষ্টিতে? অবাক করা বিষয় হচ্ছে, গার্ডিওলার সেরার তালিকায় এরা কেউ নেই। তার দৃষ্টিতে সেরা লেভানডোস্কি। এ প্রসঙ্গে গার্ডিওলা বলেন, আমি এখন পর্যন্ত যত খেলোয়াড় দেখেছি তাদের মধ্যে সবচেয়ে পেশাদার রবার্ট। ২৪ ঘণ্টাই সে খেলা নিয়ে ভাবে, অনুশীলনে তার পুরো মনোযোগ খেলাতেই থাকে, সে সঠিক খাবারটাই খায়, ঘুমোতে যায় এ নিয়ে চিন্তা করতে করতে। সে সব সময় এ বিষয়গুলোতে ডুবে থাকে। সে জানে শরীরকে সেরা অবস্থায় রাখতে তার কী করা উচিত, এ জন্যই সে কখনও চোটে পড়ে না। অথচ এই লেভানডোস্কিকে নিয়েই শঙ্কায় ছিলেন গার্ডিওলা। বেয়ার্নের তারায় ঠাসা দলে এই পোলিশ স্ট্রাইকার মানিয়ে নিতে পারবেন কি না, এ শঙ্কাও নাকি ছিল বাভালিয়ান কোচের। কিন্তু কোচের সেই শঙ্কা লেভানডোস্কি উড়িয়ে দিয়েছেন অসাধারণ ঢংয়ে। চলমান মৌসুম শেষেই বেয়ার্ন ছেড়ে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন গার্ডিওলা। অন্যদিকে লেভানডোস্কিও বেয়ার্নে থাকবেন কি না, এ নিয়েও চলছে দুই পক্ষের মধ্যে দর-কষাকষি। এ কারণে আসছে মৌসুমেই হয়ত লেভা-গার্ডি জুটি ভাঙছে!
×