ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উত্তর কোরিয়ার অজানা পাঁচ

প্রকাশিত: ০৭:১২, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

উত্তর কোরিয়ার অজানা পাঁচ

উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়া। এ দেশটির প্রতি গোটা পৃথিবীর রয়েছে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি। ১৯৫০-এর দশকের কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে দেশটিতে চলছে সমাজতান্ত্রিক শাসন। দেশটি সম্পর্কে প্রচলিত রয়েছে অনেক মজার গল্প। আসুন জেনে নেই এমনই পাঁচটি গল্প ইচ্ছেমতো চুল কাটা মানা হ্যাঁ, উত্তর কোরিয়ায় যার যেমন খুশি চুল কাটবেন সে উপায় নেই? স্বৈরশাসক কিম জং উন ক্ষমতায় আসার পর পরই ঠিক করে দিয়েছেন, দেশের সব পুরুষকে বিশেষ ১০টি আর মেয়েদের ১৮টি হেয়ার স্টাইলের মধ্যেই যে কোন একটি বেছে নিতে হবে। আর কিম জং উন যেভাবে চুল কাটান সেভাবে দেশের আর কেউ কাটাতে পারবেন না। যে দেশে ‘স্বর্গ’ আছে... উত্তর কোরিয়ার সব মানুষ মন থেকে নিজের দেশকে ‘স্বর্গ’ না বললেও, যাঁরা গাঁজা সেবন করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বলেন। এ দেশে যে যত খুশি গাঁজা খেতে পারেন। গাঁজা সেখানে কোন নিষিদ্ধ মাদক নয়। সুতরাং যে যত খুশি গাঁজা খেলে কোন সমস্যাই নেই। সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামটি কিন্তু উত্তর কোরিয়ায়। নাম রুনগ্রাদো মে ডে স্টেডিয়াম। ১৯৮৯ সালের পহেলা মে স্টেডিয়ামটির কাজ শেষ হয়েছিল বলে নামের সঙ্গেও জুড়ে দেয়া হয়েছে ‘মে দিবস’। ১ লাখ ৫০ হাজার দর্শকের আসন আছে স্টেডিয়ামটিতে। জন্মদিনেও বাধা... উত্তর কোরিয়ায় বছরের বিশেষ দুটি দিনে কেউ জন্ম নিলে সেই দিনে জন্মদিন উদযাপন করা যাবে না। উত্তর কোরিয়া সাবেক দুই শাসক কিম ই সুং এবং কিম জং ইল মৃত্যুবরণ করেছিলেন বলে সেই দিনগুলোতে দেশের কোন সাধারণ মানুষের জন্মদিন উদযাপন রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ। এ নিয়ম মানতে গিয়ে প্রায় ১ লাখ মানুষকে ৮ জুলাই বা ১৭ ডিসেম্বরের জন্মদিন উদযাপন করতে হয় একদিন পর, অর্থাৎ ৯ জুলাই এবং ১৮ ডিসেম্বরে। যুক্তরাষ্ট্র ‘শত্রু’, তাই... উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ বহু পুরনো। শীতল যুদ্ধের সময় থেকে যার শুরু। এর জের এখনো যায়নি। তাই তো যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ বেশি জিন্স পরে বলে এ দেশে জিন্স পরা নিষিদ্ধ।
×