নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১২ ফেব্রুয়ারি ॥ পাঁচ-ছয় বছর ধরে পুকুর পাহারা দিয়ে আসছিলেন নিহত মমতাজ হোসেন। মাসে তিনি পেতেন ২৮শ’ টাকা। কিন্তু হঠাৎ করেই নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন আগে থেকে তিনি আর পুকুরের পথে পা বাড়াননি। চুপচাপ বসে ছিলেন বাড়িতেই। চিন্তিত দেখাচ্ছিল তাকে। কোন সমস্যা হয়েছে কি-না তা জানতে চেয়েছিলেন ছেলে আবুল কালাম। উত্তরে মমতাজ হোসেন ছেলেসহ পরিবারের সদস্যদের জানান, তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কারা তাকে হুমকি দিয়েছে এ তথ্য জানাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা। গত ২ ফেব্রুয়ারি পুকুর মালিক তৈবুর রহমান তাকে প্রায় জোর করেই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এ অবস্থায় হঠাৎ করে নিখোঁজের ৮ দিন পর ওই পুকুরপাড়েই জনৈক আবু সুফিয়ানের বাড়ির মাত্র চার গজ দূরে মমতাজ হোসেনের অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এদিকে লাশ উদ্ধারের পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে পুকুর মালিক তৈবুর রহমান। উপজেলার জয়বাংলা মোড়ে তার সার-কীটনাশকের দোকানটিও দুই দিন থেকে বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান। নিহতের প্রতিবেশী মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা তুহিন, আলমগীর হোসেন, মমতাজ হোসেন, লতিফা বিবিসহ অনেকে জানান, মমতাজ হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
একই দাবি করছেন নিহত মমতাজ পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু পুলিশ ইউডি মামলা রুজু করে লাশটি উদ্ধার করেছে। ঘটনায় হত্যা মামলা না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবারের সদস্যসহ তাদের সন্দেহের তীর ধাবিত হচ্ছে পুকুর মালিক তৈবুর রহমানের দিকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: