আলবার্ট আইনস্টাইনের মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত হওয়ায় মহাবিশ্বের অনেক রহস্যই উন্মোচিত হতে পারে মহাশূন্যে দুটি ব্ল্যাকহোল পরস্পরের দিকে প্রদক্ষিণ করছে। একটির ভর সূর্যের চাইতে ৩৫ গুণ বেশি, অন্যটি হবে প্রায় ত্রিশ গুণ। পরস্পরের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আগে তারা বিস্ময়কর গতিতে সেকেন্ডে প্রায় এক শ’ বার ঘুরতে থাকে। এরপর তাদের ‘ঘটনা দিগন্ত ইভেন্ট হরাইজন একাকার হয়ে যায় ঠিক সাবানের ফেনার বুদবুদ যে ভাবে মিলে যায়। দুটি ব্ল্যাকহোলের সংঘর্ষের মাধ্যমে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সৃষ্টির বিষয়টি একজন বিজ্ঞানী এভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। মহাকর্ষীয় তরঙ্গকে চিহ্নিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরির (লিগো) বিজ্ঞানীরা। কয়েক দশকের প্রচেষ্টার পর এই প্রথম তারা এ সাফল্য পান। ব্ল্যাকহোল হচ্ছে মহাশূন্যের সেই স্থান যেখানে অতি শক্তিশালী অভিকর্ষের কারণে কোন বস্তুই বের হয়ে আসতে পারে না। এমনকি আলোও পারে না। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করার পর বিজ্ঞানীমহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তারা একে শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার বলে অভিহিত করেছেন। এই আবিষ্কারের ফলে বিশ্ব সৃষ্টি ও এর ক্রমাগত পরিবর্তন, ব্ল্যাকহোল এবং নিউট্রন তারকা সম্পর্কে অনেক রহস্যই উন্মেচিত হবে। সূত্র: এএফপি
আইনস্টাইনের মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত॥ বহু রহস্য উন্মোচনের সম্ভাবনা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: