ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আর্থিক অন্তভুক্তি কার্যত্রক্রেমের পরিধি বাড়ানোর তাগিদ ॥ সংলাপে বক্তারা

প্রকাশিত: ০১:১৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আর্থিক অন্তভুক্তি কার্যত্রক্রেমের পরিধি বাড়ানোর তাগিদ ॥ সংলাপে বক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে নিতে আর্থিক অন্তভুক্তি কার্যত্রক্রম আগের তুলনায় জোরদার হয়েছে। তবে বিভিন্ন পর্যায় থেকে আলাদাভাবে কাজ হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে আশানুরূপ সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। দরিদ্র জনগোষ্টির জন্য আর্থিক সেবার পরিধি বাড়াতে সমন্বয় বাড়ানোর মাধ্যমে এ কার্যত্রক্রম পরিচালনা করা হবে। শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইউকে এইড যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক অন্তভুক্তি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে একটির সঙ্গে অন্যটির সমন্বয় না থাকায় একই এলাকায় ভিন্ন প্রতিষ্ঠান আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে কাজ করছে। আবার এমন এলাকা রয়েছে যারা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। এ কারণে সবার কাজে সমন্বয় আনার কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন স্ট্রাটেজি ডেভলপমেন্ট: গ্লোবাল বেস্ট প্রাকটিস’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্টিকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসছে সরকার। এ কার্যক্রমের আওতায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্টিকে ঋণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ভিজিএফ, ভিডিএফসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিকে আর্থিক অনুদান দিচ্ছে সরকার। এর ফলে দেশের দরিদ্র জনগোষ্টি কমার পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনীতিকে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, একটি সময় দরিদ্ররা ব্যাংকে যেতো না। এখন ১০ টাকা জমার বিপরীতে অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ব্যাংকিং, এজিন্ট ব্যাংকিংয়ের কারণে ব্যাংকে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে। এটিকে আরও তরান্বিত করার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম আরও এগিয়ে নেয়া সম্ভব। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, কৃষি ও এসএমই খাত, নারী উদ্যোক্তা, মোবাই ব্যাংকিং, গ্রিন ফাইন্যান্সের মতো আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম গুণগত মানের প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজে এধরনের নতুনত্ব আনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে বৈশি^ক মন্দার প্রভাব পড়েনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি আনিস এ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিনিয়র অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ। এসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছাড়াও আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ###
×