ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সদ্য উদ্বোধনী ‘ইনট্রিগেটেড চেকপোস্টের’ ট্রাক পার্কিং চার্জ বৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। পেট্রাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এদিকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধের কারণে ৫ শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। এসব পণ্যের মধ্যে মাছ, পেঁয়াজ, ফুলসহ বিভিন্ন প্রকারের কাঁচামাল রয়েছে। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার করা না হলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। পেট্রাপোল বন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় সদ্য উদ্বোধনী ‘ইনট্রিগেটেড চেকপোস্টে আমদানি-রফতানি পণ্যের ট্রাক পার্কিং চার্জসহ বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ হঠাৎ করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়িক কাজে সেখানে ব্যবসায়ীদের প্রবেশের ওপর নানা বিধিনিষেধ ও নিয়মকানুন আরোপ করা হয়েছে। এতে একদিকে দ্রুত বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে অতিরিক্ত খরচ পড়ে যাবে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে। জানা যায়, পেট্রাপোল বন্দর টার্মিনালে আগে পণ্যবাহী ৪ চাকা লরির (ট্রাক) প্রতিদিনের পার্কিং চার্জ ৮০ রুপী থেকে বাড়িয়ে ২৭০ রুপী করা হয়েছে। আর ১৬ চাকা লরির (ট্রাক) পার্কিং চার্জ ১২০ রুপী থেকে ৫৬০ রুপীতে বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক কাজে ‘ইনট্রিগেটেড চেকপোস্ট প্রবেশ করতে ঘণ্টাপ্রতি চার্জ নির্ধারণ করা হচ্ছে। চলতি বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চলতি অর্থবছরে সারাদেশে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। এর উল্লেখযোগ্য প্রকল্প চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাসমূহে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আগামী দিনে সরকার ও দাতা সংস্থার অর্থায়নে আরও উন্নয়ন কাজ করা হবে। শুক্রবার চট্টগ্রামে এলজিইডির উন্নয়ন পর্যালোচনা সভা ও কর্মশালায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী। তিনি বলেন, এডিপির শতভাগ বাস্তবায়নের প্রয়াস চালাচ্ছে এলজিইডি। পরিবেশের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব যেন না পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনার ক্ষেত্রে। তিনি পাহাড়ী দুর্গম অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরার পাশাপাশি কোন পাহাড় যেন কাটা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য পরামর্শ দেন। পর্যালোচনা সভা ও কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মীর ইলিয়াস মোরশেদ, চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশীষ কুমার পাল, ঢাকা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল হক প্রমুখ। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী জানান, সরকারী অর্থায়ন ছাড়াও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, জাইকা, সৌদি ফান্ড ও ডাচ্ অর্থায়নে নগর এবং গ্রামীণ ও পানিসম্পদ উন্নয়নে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৪০টি প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
×