ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈশ্বরদীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা ॥ পুলিশ দিচ্ছে সায়

প্রকাশিত: ০৭:২০, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ঈশ্বরদীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা ॥ পুলিশ দিচ্ছে সায়

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ^রদী ॥ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ঈশ্বরদীতে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। আর তাতে পুলিশ দিচ্ছে সায়। অবৈধভাবে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য আদালত নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আদালতের সেই আদেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় বিচার পাওয়ায় আশায় থানা ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাদী শিক্ষক, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম ও তাঁর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের দিয়াড়বাঘইল গ্রামে। সূত্রমতে, শিক্ষক ও সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১১ শতাংশ জমি একই এলাকার মৃত সাদেক আলীর ছেলে ঝংকার, সেলিম ও শাহিন এবং ঝংকারের কথিত মামা শ্বশুর মাহবুল দেওয়ানের নেতৃত্বে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। তারা জমির সকল গাছ কেটে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে। আমিরুলের বড় ভাই সেই জমিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য পাবনা আদালতে মামলা দায়ের করেন। এই জমির বিষয়ে কোর্টে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। আদালত জমিতে প্রবেশ নিষেধ ও বাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধের আদেশ দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঈশ্বরদী থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ গত ২ ফেব্রুয়ারি আসামির বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশও দিয়ে এলে কাজ বন্ধ থাকে। পরে মাহবুল দেওয়ানের মাধ্যমে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করা হয়। এরপর থেকে থানা পুলিশ মামলার বাদী ও তার ভাই আমিরুল ইসলামকে অবজ্ঞা করতে থাকে। আসামিরা আবারও বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছে। বিষয়টি পুলিশকে বারবার জানানোর পরও কোন কাজ হচ্ছে না। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ফিরে আসায় আসামিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। রাঙ্গামাটির প্রত্যন্ত এলাকায় ডায়রিয়া ॥ এক শিশুর মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ১৩ ফেব্রুয়ারি ॥ দুর্গম জুড়াইছড়ি উপজেলার দুমদুমিয়া ইউনিয়নের বরকলক এলাকায় ভয়াবহ আকারে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। গত ৩ দিনে ওই এলাকায় ২০-২৫ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোগীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। এদের মধ্যে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মিলাব নামে দেড় বছরের শিশু মারা গেছে। শিশুটির বাবা-মার নাম মধুরঞ্জন ও সোনাবী চাকমা। খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ বিলাইছড়ি ও জুড়াইছড়ি থেকে ২টি মেডিক্যাল টিম অকুস্থলে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ¯েœহ কান্তি চাকমা জানান, এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আক্রান্ত রোগীরা বর্তমানে চিকিৎসা পাচ্ছেন। এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জেলা সদরে আসতে দেরি হয়েছে। শনিবার এ ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুটি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় এলাকায় তীব্র পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পানিজনিত কারণে এ রোগ হয়েছে বলে চেয়ারম্যান তরুণ মনি চাকমা জানান।
×