ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনলাইনে অভিযোগ গ্রহণের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সুশাসন প্রতিষ্ঠায়  অনলাইনে  অভিযোগ গ্রহণের  উদ্যোগ

সংসদ রিপোর্টার ॥ গণমুখী, জবাবদিহিমূলক ও দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনলাইনে অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়া চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অনলাইনে গৃহীত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে একজন ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ করা হয়েছে। শীঘ্রই এ প্রক্রিয়ায় দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন অভিযোগের নিষ্পত্তি করা যাবে। রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মন্ত্রী আরও জানান, জনপ্রশাসনকে দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত ও গতিশীল করতে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি ও পদায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রচলিত এসিআরের পরিবর্তে কর্মকৃতিভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি (এপিআর) প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তা পরীক্ষামূলকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রবর্তন করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন, জনবান্ধব ও তথ্যসমৃদ্ধ সরকারী সেবা-ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের আইনসম্মত নিরাপত্তা বিধান করা এবং তাদের জনসেবায় প্রস্তুত করার লক্ষ্যে সরকারী কর্মচারী আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আইনের খসড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন লাভ করেছে। তিনি জানান, জবাবদিহিমূলক ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন নিশ্চিত করতে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অসদাচরণ, অদক্ষতা ও দুর্নীতিজনিত কারণে বিভাগীয় মামলা রুজু করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি প্রদান কর হয়। এ ছাড়া সরকারী কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ ও বিধি অমান্য করলে শাস্তির বিধান রয়েছে। মন্ত্রী জানান, জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের সময় সরকারী কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর বিধি-১৩ অনুযায়ী সম্পদের হিসাব বিবরণী গ্রহণ এবং সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে বৈধ আয়ের উৎস প্রদর্শনপূর্বক অনুমতি প্রদান করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষার ফি কমানো হচ্ছে না ॥ সরকারী চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষার ফি কমানো ও ফি গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষেত্রে আপাতত সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই বলে সংসদে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদীর প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী জানান, সরকারী চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের কাছ থেকে পে-অর্ডার/চালান/ পোস্টাল অর্ডার নেয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে ‘অনগ্রসর নাগরিক’ ব্যতীত সকল প্রার্থীর জন্য অফেরতযোগ্য সাত শ’ এবং এক শ’ টাকা নেয়া হয়।
×