ব্রিটেনে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে সংবাদপত্র তখন ছাপনো হতো লন্ডনের ফ্লিট স্ট্রিট থেকে। ষোড়শ শতকের শুরু থেকে খবরের কাগজ ছাপা ও প্রকাশনা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফ্লিট স্ট্রিটের নাম। লন্ডনের এ এলাকা থেকেই তখন ছাপা হতো প্রায় সব কাগজ। কিন্তু ৩০ বছর আগে মারডক নিজের প্রকাশনা সংস্থার অফিস ফ্লিট স্ট্রিট থেকে সরিয়ে ওপিং স্ট্রিটে নিয়ে যাওয়ার পরই এলাকাটির চিত্র বদলাতে থাকে। সেখানে আরও সস্তায় পত্রিকা ছাপানো শুরু করে মারডকের প্রকাশনা সংস্থা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
দ্য টাইমস-এর মালিকের দেখানো পথ অনুসরণ করেই দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ, দ্য ডেইলি মেলসহ সব পত্রিকা অফিস সরিয়ে নেয়া হয়। এক সময় সাংবাদিকদের তীর্থক্ষেত্র বলা হতো চার্চটিকে। ছাপা ও প্রকাশনার সঙ্গে সেই ফ্লিট স্ট্রিটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও সেই চেনা সেন্ট ব্রাইড চার্চে নিজের চতুর্থ বিয়ে করবেন মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মারডক (৮৪)। শুধু মারডক নন লন্ডনের বহু সাংবাদিকই বিয়ে করেন এই চার্চে। মৃত্যুর পর শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয় সেখানে। ‘সংবাদমাধ্যমের আধ্যাত্মিক পীঠস্থান’ বলা হয় এই চার্চটিকে। মার্চের প্রথমদিকের কোন এক শনিবার মার্কিন সুপার মডেল ও অভিনেত্রী জেরি হলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন মিডিয়া মুঘল রুপার্ট মারডক। গত মাসে ‘দ্য টাইমস’-এর জন্ম, বিবাহ এবং মৃত্যুসংক্রান্ত ঘোষণার পাতায় এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই শুরু হয়ে যায় কানাঘুষা। এর আগেও তিনবার বিয়ে করেছেন মারডক। প্রথম ১৯৫৬ সালে এক বিমান সেবিকাকে। এগারো বছর পর বিচ্ছেদ। তারপর এক সাংবাদিককে বিয়ে করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে বিচ্ছেদের সতেরো দিনে চীনা শিল্পপতি ওয়েন্ডি ডেং’কে বিয়ে করেন। তেরো বছর পর ভেঙে যায় সেই বিয়েও। জেরি হলেরও এটা প্রথম বিয়ে নয়। ১৯৯০ সালে রকস্টার মিক জ্যাগারের সঙ্গে বালির একটি মন্দিরে হিন্দুমতে বিয়ে করেছিলেন জেরি। যদিও মার্কিন আদালত সেই বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়নি। জেরি-মারডকের বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন তাদের আগের পক্ষের সন্তানরা। অন্যান্য অতিথির তালিকায় রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। বিয়ের সাক্ষী থাকবে মারডকের পুরনো কর্মক্ষেত্র ফ্লিট স্ট্রিট।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: