ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বন বিভাগে ব্যর্থতায় বাঁশখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে ইট ভাটায় পুড়ছে বনের কাঠ

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বন বিভাগে ব্যর্থতায় বাঁশখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে ইট ভাটায় পুড়ছে বনের কাঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী॥ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ বিভিন্ন উপজেলার পাহাড়ের পাদদেশেই তৈরী হচ্ছে ইট। স্থাপিত হচ্ছে নতুন নতুন অবৈধ ইট ভাটা। খবর নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। এসব দমনে বন বিভাগ যেন ব্যর্থ। নতুন নতুন গড়ে উঠা ওই সব অবৈধ ইটভাটা গুলোতে নির্বিচারে পুড়ছে বনের কাঠ। সরকার একদিকে প্রকৃতি ও বন্য প্রাণি রক্ষায় বিদেশীদের সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রভাবশালী মহলের গোপন আতাতে গড়ে উঠছে অবৈধ ইট ভাটা। সরকারী ভাবে পাহাড় হতে ২ কিলোমিটার অদূরে লাইসেন্স নিয়ে ইট ভাটা তৈরীর নির্দেশ থাকলেও তা যেন শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নতুন নতুন ভাটা তৈরী করলেও তাদের যেন কিছুই করার নেই! বনরক্ষীরা অফিসের মধ্যেই যেন তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। তারা শুধুমাত্র কাগজে কলমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেই দায়িত্ব শেষ করেন। নেই কোন তাদের মাঠ পর্যায়ে কার্যকর বাস্তব পদক্ষেপ। বাঁশখালীর ইকোপার্ক সংলগ্ন জঙ্গল জলদী পাহাড়ি এলাকায় জনৈক আমির হোসেনের মালিকানাধীন এমবি-৪ নামে গড়ে উঠছে বিশাল ইটভাটা। চুনতি-জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ যখন প্রকৃতি ও পশুপাখি সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে সেই সময়ে অভ্যয়ারণ্য রেঞ্জের পাদদেশে এই ধরনের ইট ভাটা গড়ে উঠায় পরিবেশ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বলে দাবী এলাকাবাসীর। একদিকে বন রক্ষার নাম দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার ও ইউএসএডি’র বিভিন্ন গ্লোবাল ফান্ড। অন্যদিকে গড়ে উঠছে নিত্য নতুন অবৈধ ইট ভাটা। সব মিলিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ এই ইট ভাটা তৈরী হয়ে গেলে প্রকৃতি ও বন হুমকির মুখে পড়বে। আজ সোমবার (১৫ ফেব্র“য়ারী) বাঁশখালী সাতকানিয়ার বিভিন্ন ইট ভাটা পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে আলাপ করে পাহাড়ের পাদদেশে পরিবেশ ধ্বংসকারী ইটভাটার এমন চিত্র পাওয়া যায়। সাতকানিয়া-বাঁশখালীর পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে ২১টি ইট ভাটা। সকল ইট ভাটা গুলোতে বিপুল পরিমাণ পাহাড়ি কাঠ পোড়ানোর উদ্দেশ্যে মজুদ রয়েছে।
×