ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

দেশ নয় খেলাঘর

প্রকাশিত: ০৩:২৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দেশ নয় খেলাঘর

ট্র্যাজেডির পর প্রহসন আসে। সমাজে এই সব প্রহসন লঘুমাত্রা তৈরি করে। তাই গা সওয়া হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কতদিন সয়ে যাওয়া যায় প্রহসনের প্রহেলিকা? পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির পর জাতি হিসেবে বাঙালীকে মাসুল গুনতে হচ্ছে আজও। আর দেখে যেতে হচ্ছে দিনের পর দিন বিকৃত মানসিকতায় আবৃতদের প্রহসন। পঁচাত্তর পরবর্তী জান্তা শাসক ও তাদের প্রতিভূরা দেশে ও সমাজে এক ধরনের প্রহসন মঞ্চায়ন করে আসছে; যার বায়ু, শব্দ ও পরিবেশ এবং রাজনীতি দূষণের হাত থেকে নিস্তার মিলছে না। তাদের বিষক্রিয়ায় সমাজজুড়ে যে পচন বিদ্যমান, তা সেই সময় থেকে শুরু হয়েছে। তার ক্ষত সহজে দূরীভূত হচ্ছে না। বয়সের ভারে কাবু হলেও এরা দূূষণ ক্রিয়ার মঞ্চ থেকে বিদায় নিচ্ছে না। বরং জাঁকিয়ে বসতে চায় আরও। রাজনীতিকে তারা দূষণযুক্ত করেছে, লুটেরা শ্রেণীর সৃষ্টি করেছে। আদর্শহীন, লক্ষ্যহীন, স্বার্থান্ধ মানুষদের সংখ্যা বাড়িয়েছে, সে অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটানো সহজতর নয়। কেন যেন এদের কোন অপরাধকেই অপরাধ মনে করছেন না সাধারণজনও। তারা ধরেই নিয়েছেন এই চরিত্রগুলো এমনই হবে, তারা নানা কিছুর খোরাক যোগাবেন। অবশ্য তাদের অপকর্র্মও সয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই। যদিও এদের অতীত অপকর্মের জন্য এরা অনুতপ্ত নয়। কাঠগড়ায় দাঁড়ালেও এদের শাস্তি প্রাপ্তির খবর আর প্রকাশ হয় না। তারাও ধরে নিয়েছে, প্রহসনের এই এক পরিচ্ছেদ। যেখানে বিচার হবে শুনে শুনে কান ঝালাপালা হয়, কিন্তু বিচার আর হয় না। এমনকি মানুষ হত্যার হুকুমদাতা হয়েও তারা নির্বিকারে মানুষের সামনে হাজির হতে কসুর করে না। এই স্বার্র্থান্ধদের মন কোন কথাই ঠিকভাবে ভাবতে পারে না। আর তাই গত ক’দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, দুই পৃথক ছাদের নিচে বসবাসকারী স্বামী-স্ত্রী (দম্পতি) কার ভাগে কতটুকু হিস্যা থাকবে দলের, তা নিয়ে বাহাস চালিয়ে যাচ্ছে। এরাও বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিশিয়ারি জান্তাজাত। তাদের ক্ষমতাকালেও স্বামী-স্ত্রী মিলে যা করেছে, তা তাদের শাসনকালে যেমন, পতনের পরও প্রকাশ হয়ে আসছে। প্রহসন একের পর এক তারা দেখিয়েছেন। এখনও যার বিনাশ হয়নি। অভিধান থেকে ‘লোক লাজ’ ও ‘লাজ-লজ্জা’ শব্দটি প্রায় মুছেই দিয়েছে যেন। রাজনীতির নামে তারা মানুষের মনকে ছোট করে দিয়েছে। লোভ-লালসা, দুর্নীতিকে জাগ্রত শুধু নয়, বিস্তার ঘটিয়েছে আদর্শ হিসেবে। শিখিয়েছে হিংসা-বিদ্বেষ পূর্ববর্তী অপর জান্তা শাসকের মতোই। মানুষ যেখানে হিংসায় উন্মত্ত রাজনীতি সেখানে স্বভাবতই বিষাক্ত। বিষ মানুষের মনে, সেই বিষই সংক্রমিত হয়েছে রাজনীতিতে। জনগণ যদিও চায় সর্বাগ্রে প্রয়োজন এদের হাত থেকে রাজনীতিকে দূষণমুক্ত করা। এরা অনেকটা পাকিস্তান যুগের আইউব-ইয়াহিয়ার মতোই। আচার-আচরণে তার প্রমাণ রেখে যাচ্ছে। এরা ইতিহাসকে আমূল বদলে দিয়ে নিজেদের মনগড়া ইতিহাসকে স্থাপন করতে সেই পঁচাত্তর পরবর্তী থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই জান্তা শাসক রাজনীতিকে যেভাবে বিষাক্ত করে তুলেছে, তাদের রাজনীতির বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত হবার অবারিত পথের সন্ধান জরুরী। তারা রাজনীতিকে এমন কদর্য করেছে যে, সেখানে সঙ্গীত, সাহিত্য, শিল্পসম্মত কোন আনন্দের বা সুন্দরের স্থান হওয়া দুরূহপ্রায়। রাজনীতিকে এরা নিজেরা পরিণত করেছে অসাধুতার, লুটেরার প্রধান আশ্রয়। এদের রাজনীতি দুষ্টকেই পালন করেছে, শিষ্টকে করেছে দমন। এরা মানুষের সাংস্কৃতিক বোধ এমনকি মনুষ্যত্বকে নষ্ট করার প্রণোদনায় মত্ত ছিল এবং আছে। রাজনীতিতে দুশ্চরিত্র, ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী, ধর্মান্ধ, স্বার্থান্ধদের জুটিয়েছে এরা। তাদের সংস্পর্শে রাজনীতি হানাহানি, সংঘর্ষ, ষড়যন্ত্র, ইত্যাকার রাজনীতিবহির্ভূত কর্মকা-ে ভরপুর ছিল। তাদের রাজনীতিতে তারা দুর্নীতির শীর্ষাসনে ঠাঁই নিয়েছেন বলেই দুর্নীতির মামলাগুলো আজও পিছু ছাড়ছে না। সকল প্রকার দুষ্টামি-নষ্টামিকে প্রশ্রয় দিয়ে জাতির চরিত্রকে দূষিত, দেশপ্রেমহীনসহ পরাজিত মানসিকতার বিস্তার ঘটিয়েছে। এরা ঘোষণা দিয়ে মানুষ হত্যা করতে পারে। গুলি, গ্রেনেড চালিয়ে প্রতিপক্ষকে হত্যা- সবই সম্ভব করতে পেরেছে। এই দলগুলো দূরদৃষ্টির পরিচয় দেয়নি কখনও। বরং মানুষকে স্বাধীনতা থেকে পরাধীনতার যুগে তথা আইউব-ইয়াহিয়ার যুগে ফিরিয়ে নিতে কি-না করেছে। এদের রাজনীতি হচ্ছে, ‘প্রিয় বাক্য অসত্য হলেও বলবে’, ‘প্রিয় কর্ম অপকর্ম হলেও করবে।’ এদের রাজনীতি হচ্ছে সকল প্রকার কুকীর্তির প্রশ্রয়দান এবং দুষ্কৃতির আশ্রয়স্থল। পাকিস্তানকাল থেকে বালক বয়সে দেখে এসেছি রাজনীতিকে, দেশ এবং জাতির মুক্তিকামী হিসেবে। শুধু পরাধীনতা থেকে মুক্তি নয়, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, অজ্ঞতা, অন্ধতা থেকে মুক্তি। সেই রাজনীতিতে প্রহসনের খল চরিত্রদের অনুপ্রবেশ এতই দূূষিত করেছে যে, তার কলুষিত কবল থেকে দেশকে, জাতিকে মুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রবল বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে তিনি কলুষমুুক্ত রাজনীতি, সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যকে সামনে রেখেছেন। শিক্ষিত সমাজের প্রধানতম কর্তব্য হওয়া উচিত এই কলুষমুক্ত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার পথ তৈরি করা। ‘দু’নেত্রী’ নামক উচ্চারণকে পরিহার করে , জান্তা যুগের প্রতিভূদের রাজনীতি থেকে সরে যাবার চাপ প্রয়োগ করা। কারণ তাদের চরিত্রহীন রাজনীতি মূলত স্বার্থান্বেষীর রাজনীতি। অবশ্য স্বার্থের সমাপ্তি অপঘাতে। যে রাজনীতি বাঙালীকে মুক্তির সন্ধান দিয়েছিল, নানা স্বার্থের মিশ্রণে সেই রাজনীতিকে এরা বিষময় করেছে। স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে এরা হাঁটেনি, হাঁটার কথাও নয়। বরং গণতন্ত্রকে এরা টুঁটি চেপে ধরেছিল। গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে এদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা দেয়নি। এদের মন কখনও হবে না নির্মল। তাই রাজনীতির পরিবেশ নির্মল হবার নয়। অথচ দেশের মানুষ চায়Ñ নদীর পানি হবে নির্মল, বায়ু নির্মল হবে, আকাশ হবে হাস্যোজ্জ্বল, চারদিক করবে আলোয় ঝলমল, দেশের মাটিতে মানুষের অঙ্গ জুড়াবে। কিন্তু এরা রাজনীতিতে বহাল থেকে প্রহসনের পর প্রহসন মঞ্চস্থ করে যাচ্ছে। এদের সঙ্গে রয়েছে ঘাতক, জঙ্গী-সন্ত্রাসী, যুদ্ধাপরাধীদের অনুসারীরা। এদের বশংবদ হয়ে সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে ২০০১ সাল থেকে। এরা পারে না হেন কাজ নেই। এদের আচরণ ও কর্ম পর্যালোচনা করলে প্রাচীন সময়ের দৃশ্যপট ভেসে আসে। প্রাচীন ইহুদী জাতির এক সুপ্রসিদ্ধ ধর্র্মীয় নেতা তথা ধর্মগুরু ছিলেন জেরিমিয়া। খ্র্রিস্ট জন্মের সাড়ে ছয় শ’ বছর আগে তার জন্ম। তিনি যথার্থই ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। প্রাচীন ইহুদী জাতির ইতিহাসে তাঁর একটি বিশিষ্ট স্থান রয়েছে। তার প্রমাণ ‘ওল্ড টেস্টামেন্টের’ একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় জুুড়ে তাঁর কাহিনী বিধৃত। ধর্মীয় নেতার কর্তব্যটি তিনি অতিশয় নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। প্রত্যেকটি মানুষ যাতে সৎ পথে, ধর্ম পথে চলে সে বিষয়ে তাঁর প্রখর দৃষ্টি ছিল। লোকের আচার-ব্যবহারে সামান্যতম ত্রুটি-বিচ্যুতি তিনি সইতে পারতেন না, একটুতেই ধৈর্র্যচ্যুতি ঘটত, চেঁচামেচি, হা-হুতাশ, তারপরে মরাকান্না জুড়ে দিতেন- ‘গেল গেল, সব গেল, সমাজ উচ্ছন্নে গেল, দুনিয়া রসাতলে।’ ধর্মগুরু হিসেবে জেরিমিয়া নিজেকে সমাজের অভিভাবক বলে মনে করতেন। কিন্তু অভিভাবকসুলভ ক্ষমা বা সহিষ্ণুতা তার মধ্যে ছিল না। ক্ষমা, তিতিক্ষা ধর্মের মস্ত বড় অঙ্গ। যিশুখ্রিস্টকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মতিভ্রান্ত ভ্রাত্যকে কতবার ক্ষমা করব- সাতবার? যিশু হেসে বলেছিলেন, অসংখ্যবার- যতবার ভুল করবে ততবারই ক্ষমা করতে হবে। কোন ব্যাপারেই আতিশয্য বাঞ্ছনীয় নয়। অতিরিক্ত করতে গেলে হাস্যাস্পদ হতে হয়। জেরিমিয়ার বেলায় তাই হয়েছে। তাঁর জীবিতকালেই তিনি পরিহাসের পাত্র হয়েছিলেন, এমন অবশ্য নয়। কিছু সংখ্যক লোক অতিষ্ঠ বোধ করলেও অনুমান করা যেতে পারে, ওই সরলচিত্ত ধর্মভীরু নিষ্ঠাবান মানুষটির অস্থিরতা, ব্যাকুলতা দেখে লোকে থমকে গিয়েছে, শঙ্কিত বোধ করেছে এবং সাধ্যমতো নিজেদের সংযত করেছে। কিন্তু সে যুগ আর এ যুগ এক নয়। এককালে লোকে যা দেখে ভয় পেয়েছে, সমীহ করেছে, আজ তাই দেখে লোকে মজা পায়, হাসি-মস্করা করে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘সময় যেন ক্রমেই ইতর হইয়া আসিতেছে।’ খুব খাঁটি কথা। তবে সময় তো ইতর হয় না, মানুষই ইতর হয়। মানুষের অপকর্মের ফলেই কালের মুখে চুনকালি পড়ে। ইতর বললে পাছে কেউ গায়ে পেতে নেয়, সেজন্য নরম করে বলা যায়, মানুষ ক্রমেই যেন লঘুচিত্ত হয়ে আসছে। ফলে এখন কোন কিছুরই আর মর্যাদা নেই, কেউ কারও মান রেখে কথা বলে না। সমাজে সব সময়েই অল্পসংখ্যক জ্ঞানীগুণী মানুুষ থাকেন। বাদবাকি সকলেই ‘ইতরজন’। ইতর কথাটি অতি নিরীহ; যেটি কারও মানহানি করেনি, মানুষই কদর্য করে ওর মানহানি করেছে। লঘুচিত্ত বলেই আজকের মানুষ, মানুষে মানুষে ইতরবিশেষ অর্থাৎ পার্থক্য দেখতে পায় না। আর তা পায় না বলেই সমাজে এখনও তাদের ‘নর্তনকুর্দন’ দৃশ্যমান হয়। এই জান্তা জাতরা সাধারণ মানুষকে প্রজা হিসেবে গণনা করে নিজেদের রাজ-রাজন্য কিংবা রাণীমাতা ভেবে সুখপ্রদ থাকতেন। জেরিমিয়ার ঘটনায় আরও ঘনঘটা রয়েছে। বাইবেলের মাধ্যমে ইসরাইল থেকে গ্রীস এবং গ্রীস থেকে ইতালি হয়ে জেরিমিয়ার কাহিনী পশ্চিম ইউরোপেও গিয়েছে। অবশ্য এই পথ পাড়ি দিতে লেগেছে কয়েক শতাব্দী। ভিন দেশে ভিন্নকালে, ভিন্ন ভিন্ন রুচি থাকাটাই স্বাভাবিক। এক রীতি, রুচি, সর্বকালে সর্বত্র চলে না। সে কারণে পূর্বাঞ্চলে একদিন যিনি ছিলেন উপাস্য ব্যক্তি, পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছে তিনি হলেন উপহাস্য। জেরিমিয়া চরিত্র নিয়েই সাইলক চরিত্রের সৃষ্টি। জেরিমিয়া নামে ইংরেজী সাহিত্যে কোন চরিত্র না থাকলেও এর স্বভাবটি নিয়ে একটি সমশব্দ তৈরি হয়েছে অভিধানে-জেরিমিয়াড। এর অর্থ, জেরিমিয়ার মতো একটুতেই বেসামাল হয়ে ‘গেল গেল জজবা তোলা, সর্বনাশ হলো, ধর্ম আর রইল না, দেশ বিক্রি হয়ে গেল’ ইত্যাদি ধ্বনি তুলে হা হতোস্মিভাব। জেরিমিয়ার কা-জ্ঞানের বেশ অভাব ছিল। কতটুকু মানানসই আর কতটুকু নয়-সে বোধের অভাব ছিল। অর্থাৎ, পরিমিতিবোধ ছিল না। ব্যঙ্গচ্ছলে তাকে জেরিমিয়াড আখ্যা দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশের এই জেরিমিয়াডরা যতদিন অবসরে না যাবে ততদিন এদের ব্যঙ্গবিদ্রƒপ আর প্রহসন দেখে যেতে হবে বুঝি। বাংলাদেশে পঁচাত্তর পরবর্তী যে সমাজ গড়ে তোলা হয়েছে, তা কবি-দার্র্শনিকের হাতে গড়া নয়, জান্তাজাত রাজনীতিকদের পশ্চাৎপদ মনমানসিকতায় পাকিস্তানী চেতনার বিস্তার ঘটানোর মধ্য দিয়ে গড়া। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণে দেশবাসী সামনে পেয়েছে শেখ হাসিনাকে। কথিত ধর্মভীরু আদি জেরিমিয়ারা নিজেদের অক্ষম ভেবে কান্নাকাটি করেছে, পলিটিক্যাল জেরিমিয়ারা ক্ষমতার গর্বে ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিয়েছে। ত্রুটি, বিচ্যুতি, ভুলভ্রান্তি সত্ত্বেও দেশ এগোচ্ছে। অগ্রগতি চতুর্গুণ হতে পারত যদি জেরিমিয়ার দল বিশৃঙ্খলার সৃৃষ্টি করে উন্নতিমূলক কাজেও বাধা না দিত। বিরোধী রাজনীতি অল্পবিস্তর সব দেশেই রয়েছে। কিন্তু দলের স্বার্থে কখনও দেশের স্বার্র্থকে বিসর্জন দেয়া হয় না। শুধু বিদ্বেষবশে সৎ কাজে বাধা দেয়া যাদের চরিত্রের অঙ্গ, এদের চিত্ত বিকার ঘটছে বলেই দল কার হাতে তুলে দেবে না দেবে সে নিয়ে এত প্রহসন। এসব দৃশ্যাবলীর অচিরেই বিলোপ হবে, তা নয়। এসব ব্যর্থকাম মানুষ অনেক সময় অনর্থ ঘটায়। তাদের হতাশা থেকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর জন্ম। দেশকে এরা খেলাঘর মনে করে। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। দেশ মানবের, মানবজাতির।
×