ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবারের অভিযোগ

স্কুল ছাত্রের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে মামলা দিয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

স্কুল ছাত্রের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে মামলা দিয়েছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশের বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সের এক স্কুলছাত্রের পকেটে জোর করে হেরোইন ও ইয়াবা দিয়ে থানায় নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে মামলা দেয়ার জন্য থানা পুলিশ ওই স্কুলছাত্রের বয়স বাড়িয়ে লিখেছে বলেও অভিযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। সোমবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই স্কুলছাত্রের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম হিরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শহীদুল ইসলাম হিরা জানান, ২০১০ সালে পল্লবী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কালুর মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে আমার চাচা শওকত হোসেন প্রতিবাদ করেন। এরপর কালুর নেতৃত্বে এলাকার সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে চাচা শওকতকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর কালু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু কালু আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পুনরায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসা শুরু করে। এরপর কালু গং মামলা তুলে নিতে শওকতের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। এমনকি পুলিশের সহযোগিতায় মাদক ব্যবসায়ী কালু তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আর এ কাজে ওই মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেন থানার এসআই জোবায়ের। ২০১৫ সালের ২৯ নবেম্বর রাতে আমার ছোট ভাই স্কুলছাত্র আল-আমিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমার মায়ের ওষুধ আনতে বাসা থেকে বের হয়। এ সময় এসআই জোবায়ের ও স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে জোর করে আটক করে পকেটে ইয়াবা ও হেরোইন ঢুকিয়ে দেয়। কয়েক প্রতিষ্ঠানকে রাজউকের জরিমানা স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ইমারত নির্মাণ আইন লংঘন করে অননুমোদিত স্থাপনা ও ফুটপাথে র‌্যাম্প বসানোসহ বিভিন্ন অপরাধে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির মালিককে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে রাজউক। সোমবার রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হামিদ মিয়া ও নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে পৃথক অভিযানে এই জরিমানা করা হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজউকের জোন-৪ (গুলশান)-এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে সহায়তা করেন অথরাইজড অফিসার মোঃ আদিলুজ্জামান। অভিযানে গুলশান এভিনিউ-এর ৫৭ নাম্বার প্লটের বে ডেভেলপমেন্ট লি.-এর বেজমেন্টের পার্কিং স্থানে অননুমোদিত স্থাপনা ও ফুটপাথের উপর র‌্যাম্প অপসারণ করা হয় এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বেজমেন্টের কারপার্কিং নক্সা মোতাবেক না হওয়ায় এবং নক্সা বহির্ভূত র‌্যাম্প নির্মাণ করায় সুবাস্তু ইমাম স্কোয়ারের মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্লট নাম্বার ১৬ , ১৮ ও ৬৭, প্রতীক টাওয়ার ও আব্দুল আওয়াল মিন্টুর বাড়ির সামনের ফুটপাথের ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়। বিরক্ত হয়ে- যানজটে আটকা পড়ে গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে পড়েন অনেকে। ছবির ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন এক যাত্রী। উদ্দেশ্য শপিংমলে যাবেন। কোলের শিশুটিকে একটি ছোট ঠেলাগাড়িতে দিয়ে স্ত্রীসহ সড়কে নেমে পড়েছেন তিনি। অবশ্য যানজটের কারণে অনেকেই নেমে পড়েছেন গাড়িটি থেকে। রাজধানীর বিজয় সরণী থেকে ছবিটি তুলেছেন জনকণ্ঠের নিজস্ব আলোকচিত্রী। ঝুঁকি নিয়ে- অসাবধানতার কারণে নির্মাণ শ্রমিকেরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন। রাজধানীতেও নির্মাণ শ্রমিকদের দুর্ঘটনার ঘটনা প্রতিবছর কম ঘটে না। নিয়ম হলো, বহুতল ভবনে কাজ করার পূর্বে কোমড়ে বেল্ট বেঁধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হবে। ছবির বহুতল ভবন নির্মাণে কাজ করতে গিয়েও নিরাপত্তা বেল্ট বাঁধেননি শ্রমিকেরা। রামপুরা থেকে ছবিটি তুলেছেন জনকণ্ঠের নিজস্ব আলোকচিত্রী
×