ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

একনেকে প্রস্তাব উঠছে আজ

আরেক দফা ব্যয় বাড়ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন সড়কে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আরেক দফা ব্যয় বাড়ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন সড়কে

হামিদ-উজ-জামান মামুন ॥ আরেক দফায় ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পে। বলা হচ্ছে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সমাপ্ত করতেই আরও ৬২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার প্রয়োজন। তৃতীয় দফা সংশোধনের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) থেকে প্রস্তাবনা পাঠানোর পর প্রক্রিয়াকরণ শেষ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য এস এম গোলাম ফারুক পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে, যা ওই সড়কের দুর্ঘটনা হ্রাসসহ জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। তাই প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক। এতে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব তারিক উল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিকী, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য এস এম ফারুক, সওজের প্রধান প্রকৌশলী প্রধান ইবনে আলম হাসান, প্রকল্প পরিচালক আফতাব হোসেন খানসহ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম চাললেন প্রকল্পটিতে কেন বার বার ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে তা খতিয়ে দেখেছে পরিকল্পনা কমিশন। কেননা যৌক্তিক কোন কারণ দেখাতে ব্যর্থ হলে ব্যয় বাড়ানো হতো না। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে অন্য প্রকল্পে এ রকম ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষ সতর্ক রয়েছে কমিশন। সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব একনেকে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পটির ব্যয় ৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা প্রস্তাব দিয়েছে সওজ। মূলত ঠিকাদারদের মূল্য সমন্বয় (প্রাইস এডজাস্টমেন্ট) করতে প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে। এর আগেও দুই দফা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফায় ২০০৯ সালে ২১৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালে ৮০৮ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। দুই দফা বড় অঙ্কের ব্যয় বাড়ানোর কারণে তৃতীয় দফায় ব্যয় বাড়াতে আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। কারণ প্রকল্পটির মূল মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। এখন ক্রটি মেরামতকাল চলছে। সূত্র জানায়, তিন বিদেশী ঠিকাদার শিখো পিবিএল জেভি লিমিটেড, সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড এবং গ্যানন ডানকার্লি এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প বাস্তবায়নে গাফিলতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়নি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পটি। অথচ নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় এ প্রকল্পে সরকারকে মূল্য সমন্বয়ের নামে ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা গুনতে হচ্ছে। এর মধ্যে তৃতীয় দফা সংশোধনী প্রস্তাবে মূল্য সমন্বয় খাতে ৬২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
×