ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে গার্মেন্টস কর্মীর আত্মহত্যা, স্কুলছাত্র এ্যাসিডদগ্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রাজধানীতে গার্মেন্টস কর্মীর আত্মহত্যা, স্কুলছাত্র এ্যাসিডদগ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর রূপনগরে ছোট বোনের সঙ্গে অভিমান করে এক গার্মেন্টসকর্মী আত্মহত্যা করেছেন। ডেমরায় একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। কেরানীগঞ্জের এক স্কুলছাত্রকে এ্যাসিডে ঝলসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে অজ্ঞানপার্টির ৫ সদস্যসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নেশা জাতীয় হালুয়া ও ২শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুরে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, রাজধানীর রূপনগর এলাকায় ছোট বোনের সঙ্গে অভিমান করে মরিয়ম (১৮) নামে এক গার্মেন্টসকর্মী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের বাবার নাম মঞ্জু মিয়া। গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীয়া এলাকায়। রূপনগর থানাধীন ১৫ নম্বর রোডের ৫৭০ নম্বর টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তারা। স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে তার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এরপর থেকে মরিয়ম ও তার ছোট বোন ওই বাসায় থাকতেন। রবিবার বিকেলে মরিয়ম মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিল। এ সময় তার ছোট বোন বিষয়টি তার বাবা-মায়ের কাছে মোবাইল করে বলেন, মরিয়ম কারও সঙ্গে কথা বলছে। তাই তোমরা ঢাকায় চলে এসো। এরপর সোমবার সকালে তাদের বাবা-মা ঢাকায় চলে আসেন। নিহতের বাবা মঞ্জু মিয়া জানান, তারা একত্রে দুপুরের খাবার খান। এর কিছুক্ষণ পর পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে মরিয়ম গলায় ফাঁস দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে তার রুম থেকে মরিয়মকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বিকেল ৪টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনেন তার বাবা। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রূপনগর থানার ডিউটি অফিসার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) জহুরা খানম জানান, সন্ধ্যার দিকে ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তার লাশের ময়নাতদন্ত হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালকের মৃত্যু ॥ সোমবার সকালে ডেমরা বাসস্ট্যান্ডের সামনে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোঃ লিটন (৩৫) নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবার নাম আব্দুল হামিদ ফকির। গ্রামেরবাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার হেসামদ্দি গ্রামে। তিনি ডেমরার সারুলিয়া এলাকার ইউনুস মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল পৌনে ৮টার দিকে ভ্যানচালক লিটন ব্রয়লার মুরগি সরবরাহের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার বাসস্ট্যান্ডের সামনে এলে আসিয়ান (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৫৯৪৯) নামে যাত্রীবাহী বাসটি তার ভ্যানকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথাসহ সারাশরীরে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। এদিকে ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার দ্রুত পালিয়ে যায়। এ্যাসিড দগ্ধ স্কুলছাত্র ॥ ঢাকার কেরানীগঞ্জের এক স্কুলছাত্রকে এ্যাসিডে ঝলসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ্যাসিড দগ্ধ ছাত্রের নাম মোঃ সজীব। সে কেরানীগঞ্জ আকিব আউয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। সোমবার সকালে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল জানান, সজীবের শরীরের ৫ শতাংশ এ্যাসিডে ঝলসে গেছে। তাকে জরুরী চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দগ্ধ সজীবের মা মনজুরা বেগম জানিয়েছেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলমার চরে তাদের বাড়ি। সজীবের বাবা শাহাদাৎ হোসেন আফ্রিকা প্রবাসী। রবিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার রাগারাগি হয়। পরে রাগ করে রাত ১২টার দিকে সজীব বাসা থেকে বের হয়ে যায়। হাঁটতে হাঁটতে সে সাভার থানাধীন কুপিসল গ্রামে যায়। রাত ২টার দিকে সেখানে অন্ধকারে কে বা কারা তাকে লক্ষ্য করে এ্যাসিড ছুড়ে মারে। এতে সজীবের গলা, বুক ও হাত ঝলসে যায়। পরে সোমবার সকাল ৭টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
×