ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর মুন্সি ও রাজীব হায়দার স্মরণে সমাবেশ ও আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচী

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জাফর মুন্সি ও রাজীব হায়দার স্মরণে সমাবেশ ও আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে শহীদ জাফর মুন্সি এবং রাজীব হায়দার শোভন স্মরণে রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ ও আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এতে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকার অভিযোগ করে বলেন, ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শহীদ রাজীব হায়দারের সঙ্গেই বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজীব হায়দার এবং জাফর মুন্সীর হত্যাকা-ের তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে। এই তিন বছরে আমাদের আরও অনেক সহযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৫ সালেই আমাদের ৫ জন সহযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশব্যাপী অন্তত বিশজন সহযোদ্ধা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ চত্বরে শুরু হয় গণ-আন্দোলন। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার লঘু দ-ের রায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠে তরুণ প্রজন্মসহ সর্বস্তরের মানুষ। আন্দোলনের ১০ দিনের মাথায় যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাত-শিবিরের হামলায় নিহত হন মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের লিফটম্যান জাফর মুন্সী। ১৩ ফেব্রুয়ারি অগ্রণী ব্যাংক ভবনে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়তে গেলে জামাত-শিবিরের কর্মীদের বাধা দেন জাফর মুন্সী, যিনি এর আগে গণজাগরণ মঞ্চের বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। তখন জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান জাফর মুন্সী। এর ঠিক একদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থেকে মিরপুরে নিজ বাসায় ফেরার পথে ঘাতকেরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার ও স্থপতি আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে। স্মরণ সমাবেশে রাজীব হায়দারের পিতা ডাক্তার নাজিম উদ্দিন বলেন, সন্তানহারা পিতামাতার কষ্ট অনেক বেশি। বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যু তাঁদের কাছে বেশি সহজ। যে আদর্শের জন্য রাজীব প্রাণ দিয়েছে সেই আদর্শ থেকে তার সহযোদ্ধারা বিচ্যুত না হয়, গণজাগরণ মঞ্চের কাছে এই আমার প্রত্যাশা। সমাবেশে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, আজ বিচারপ্রক্রিয়া সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা সেই বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য এ দেশের জনগণের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। আমরা আশাকরি, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার এবং এই বিচার চাইতে গিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে যেসব তরুণ শহীদ হয়েছেন, তাদের হত্যাকারীদের বিচার সুষ্ঠু প্রক্রিয়াতে সম্পন্ন হবে, যাতে করে আমাদের আর কোন আন্দোলনে যেতে না হয়। নতুবা জনতার আদালত থেকে কেউ ছাড় পাবেন না।
×