ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পটুয়াখালীর দুমকিতে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও কোম্পানি

প্রকাশিত: ০০:০২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পটুয়াখালীর দুমকিতে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও কোম্পানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীর দুমকিতে জয়েন্ট ইসলামী এম.সি.এস লিমিটেডের ক্রেডিট কার্যক্রমের নামে প্রতারনা করে সহস্রাধিক গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কোম্পানীর চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ, কর্মকর্তাসহ অসাধু চক্রটি। প্রতারিত গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্য পাতাবুনিয়া ইটভাটার ম্যানেজার মো. বশির মৃধার নেতৃত্বে এখনও বহাল তবিয়তে চলছে কোম্পানীর ব্যবসায়িক কার্যক্রম। এদিকে প্রতারনার অভিযোগে জয়েন্টের চেয়ারম্যান, পরিচালক, মাঠ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের করেছেন প্রতারিত গ্রাহকরা। কোম্পানীর দুমকি শাখার কলেবর ছোট করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব গেট সংলগ্ন ছোট্ট একটি কক্ষে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, জয়েন্ট ইসলামী এম.সি.এস লিমিটেড কোম্পানী গত ৪-৫ বছরে বরিশালের রূপাতলী হাউজিংয়ের ৯/৪ এ ব্লকে হেড অফিসের মাধ্যমে বরিশাল সদর, ভোলা, বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ, দুমকি, পটুয়াখালী, মির্জাগঞ্জ, বরগুনা, আমতলী, কলাপাড়া, গলাচিপা এবং বাউফলসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় ক্রেডিট কার্যক্রম শুরু করে। শুরু থেকে ক্রেডিট কার্যক্রম, রিয়েল এস্টেট, ডিপোজিট স্কীম, ঋণ কার্যক্রম, মাসিক সঞ্চয়সহ গ্রাহকের জমাকৃত টাকায় উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পায়রা-পাতাবুনিয়া নদী তীরবর্তী এলাকার পাতাবুনিয়ায় মেসার্স জয়েন্ট ব্রিকস্, বাকেরগঞ্জের কলসকাঠীতে মেসার্স জয়েন্ট ব্রিকস এবং বাকেরগঞ্জে একটি ডেইরী ফার্ম ক্রয় করে কোম্পানীটি। কয়েক বছর ওই কোম্পানীর মালিকানাধীন এই তিনটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভালভাবেই ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুমকি উপজেলার সহস্রাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া কয়েক কোটি টাকাসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা শুরু করে কোম্পানী কর্তৃপক্ষ। দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, কোম্পানীর চেয়ারম্যান, পরিচালকসহ কয়েকজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫টি প্রতারনা মামলার অভিযোগ চলমান রয়েছে। দুটি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
×