স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনমত উপেক্ষা করে এডিবি’র প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রেলপথের যাত্রী ভাড়া ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। মঙ্গলবার দেশের গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান শরীফ রফিক উজ্জামান ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ যৌথ বিবৃতিতে আরো অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালে রেলপথের যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির সময়ে রেল কতৃপক্ষ প্রদত্ত যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর অঙ্গিকার করেছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। এমন বাস্তবতায় বিদেশীদের স্বার্থে এ ধরনের জনবিরোধী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রেলকে যাত্রী বিমূখ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বছর বছর ভাড়া বৃদ্ধি করে সড়কপথের বাস ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রেলওয়ে আজ চরম নৈরাজ্য ও লুটপাটের কারখানায় পরিণত হয়েছে। এ খাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মহোৎসব চলছে উল্লেখ করে এসব দুর্নীতির দায়ভার নিরীহ যাত্রী সাধারণের কাঁধে চাপানোর জন্য বছর বছর ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অব্যবস্থাপনা ও লুটপাট বন্ধ করা না হলে ভাড়া বৃদ্ধির সুফল আনবেনা দাবি করে বিবৃতিদাতারা অনতিবিলম্বে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে যাত্রী সেবার মান বাড়ানো, কোচ ও বগি বাড়িয়ে আয় বাড়ানো, গতি বৃদ্ধির মাধ্যমে টাইম এরাউন্ড কমিয়ে ডাবল ট্রেন পরিচালনার মাধ্যমে আয় দ্বিগুন করার দাবি জানানো হয়। এছাড়াও রেল ভূমির বানিজ্যিক ব্যবহার ফি বাড়ানো, পণ্য পরিবহণ বাড়ানো, রেল সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি জানায় সংগঠনটি।