ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রফেসর আবদুল খালেক

শহীদ ড. জোহা ॥ শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শহীদ ড. জোহা ॥ শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে ড. জোহাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে যখন নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তখন আমি তাঁর খুব কাছাকাছি ছিলাম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমি ছিলাম তাঁর সহকারী প্রক্টর। সে কারণে তাঁর সঙ্গে আমার আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমরা একে অপরের বাসায় ঘন ঘন যাতায়াত করতাম। মিসেস নীলুফার জোহার ব্যক্তিত্ব ছিল আকর্ষণীয় এবং মধুর। ড. জোহা এবং মিসেস জোহার হাসি-খুশি দাম্পত্য জীবন নিয়ে আমরা মাঝে মাঝে রসিকতা করতাম। ড. জোহা আমাকে গভীরভাবে ¯েœহ করতেন, আমি তাঁকে অন্তর দিয়ে শ্রদ্ধা করতাম। আমার প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ¯েœহ ১৮ ফেব্রুয়ারির করুণ ঘটনার অন্যতম কারণ কিনা, তা আমার কাছে এখনও এক বড় প্রশ্ন। মাঝে মাঝে মনে হয় ঘটনাস্থল থেকে আহত আমাদেরকে উদ্ধার করতে না গেলে ড. জোহা হয়ত বেঁচে যেতেন। কিন্তু যাঁর রক্ত দেশে একটি গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেবে, যাঁর মহান আত্মদান একটি দেশকে স্বাধীন করবে, ঘটনাস্থলে তাঁকে যেতেই হবে, নিয়তির এ ছিল অমোঘ বিধান। ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির যে করুণ স্মৃতি আমার বুকের মধ্যে জমাট হয়ে আছে সে স্মৃতি কখনও ভুলবার নয়। সকালে শীত যেমন থাকবার কথা, সে বছর শীত তেমন ছিল না। সে কারণে সকালে সোয়েটার গায়ে দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। শার্ট গায়ে বাংলা বিভাগে চলে আসি। ক্যান্টনমেন্টে বন্দী অবস্থায় সার্জেন্ট জহুরুল হকের নির্মম হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি বিক্ষোভ মিছিল ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শহরের দিকে এগিয়ে যাবে, এমন কথা আমাদের কানে এসেছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা এবং সার্জেন্ট জহুরুল হক হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত কিছু ছাত্রছাত্রী এত বেশি বিক্ষুব্ধ এবং উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল যে, সেখানে প্রক্টর বা সহকারী প্রক্টর হিসেবে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবার কিছু ছিল না। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বাংলা বিভাগ আয়োজিত পুস্তক প্রদর্শনীর কাজে আমি ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে খুব ব্যস্ত ছিলাম। বর্তমান শহীদুল্লাহ কলাভবনের ১৫০ নম্বর কক্ষে বাংলা একাডেমির দেয়া বই-পুস্তকগুলো সাজিয়ে-গুছিয়ে নেয়া হচ্ছিল, এমন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, ছাত্রছাত্রীরা প্রাণের ভয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে। বেলা তখন আনুমানিক সাড়ে নয়টা। ছাত্রছাত্রীদের বিপদের কথা ভেবে সব কাজ ফেলে রেখে এগিয়ে গেলাম বিশ্ববিদ্যালয় গেটের দিকে। নাটোর রোডে পা দিয়েই বুঝতে পারলাম সেনাবাহিনীর জওয়ানরা ছাত্রদেরকে গুলি করার জন্য রাইফেল তাক করে বসে আছে। ড. জোহা এবং তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েক শিক্ষক যেমন- ড. মযহারুল ইসলাম, ড. এম. আর সরকার, অধ্যাপক হবিবুর রহমান (পরবর্তীতে শহীদ), ড. কাজী আবদুল মান্নান, ড. কছিম উদ্দিন মোল্লা, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের নাটোর রোড থেকে সরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। ড. জোহা কর্মরত সামরিক অফিসারকে বলছিলেন ‘প্লিজ ডোন্ট ফায়ার, আমার ছেলেরা এখনই চলে যাবে ক্যাম্পাসের মধ্যে’। কিন্তু সামরিক অফিসারটি কোন কথা শুনতে রাজি নন। তিনি সামরিক বাহিনীর জওয়ানদেরকে গুলি করার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় গেটে সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের উপস্থিতি আমাদের ছাত্রদের উত্তেজিত করে তুলছিল। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন মোঃ নাছিম। আমরা তখন ঘটনাস্থলে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেট নাছিম সাহেবকে অনুরোধ জানিয়ে বললাম- বিশ্ববিদ্যালয় গেটে সেনাবাহিনীর লোকজনের উপস্থিতি আমাদের ছাত্রদের উত্তেজিত করে তুলছে, জওয়ানদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট থেকে সরিয়ে নিলেই আমরা ছাত্রদের ক্যাম্পাসের ভেতরে সরিয়ে নিতে পারব। আমাদের কথায় ম্যাজিস্ট্রেট নাছিম সাহেব জওয়ানদেরকে রেডিওর গেটের দিকে সরিয়ে নিতে সম্মত হন এবং সেই মোতাবেক নাছিম সাহেব একটা জিপে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট ছেড়ে বেশ খানিকটা পূর্বে রেডিওর গেটের দিকে এগিয়ে যান। জওয়ানরাও ধীর পায়ে রেডিওর গেটের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এই ব্যবস্থায় পরিস্থিতি অনেকটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সমবেত শিক্ষকগণ তখন দু’দলে বিভক্ত। একদল শিক্ষক ছাত্রদেরকে নাটোর রোড থেকে মেইন গেট দিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে আসবার কাজে ব্যস্ত। এই দলে ছিলেন ড. জোহা এবং আরও অনেক শিক্ষক। আমি, ড. মান্নান এবং ড. মোল্লা জওয়ানদের পিছে পিছে রেডিওর গেটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের অবস্থান ছিল ছাত্র এবং জওয়ানদের মাঝামাঝি। উদ্দেশ্য, যাতে জওয়ানরা আমাদের মাঝখানে রেখে ছাত্রদের গুলি করতে না পারে। ছাত্ররা নাটোর রোড ছেড়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে পড়ছে দেখে আমরা স্বস্তি অনুভব করতে থাকি। পায়ে পায়ে আমরা যখন নাটোর রোড পার হয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ পাশে চলে এসেছি, এমন সময় আকস্মিকভাবে গুলি বর্ষিত হয়। গুলির শব্দে আমরা ছিটকে পড়ে যাই নাটোর রোড সংলগ্ন দক্ষিণ দিকের খাদে। একই সঙ্গে ছিটকে পড়ে যান শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড. কাজী আবদুল মান্নান এবং বন্ধু ড. কছিম উদ্দিন মোল্লা। খড়ের গাদার মধ্যে পড়ে বুঝতে পারলাম ড. মান্নান এবং আমি কাছাকাছি আছি। আমার মাথা এবং ড. মান্নানের মাথা পাশাপাশি। ফিস ফিস করে আমরা কথা বলতে পারছিলাম। মুহূর্তের মধ্যে একটা গুলির আওয়াজ কানে এলো। তারপর একটি তীব্র আর্তনাদ। বুঝতে পারলাম হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়ে গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে পাশের করুণ আর্তনাদ আরও তীব্র হয়ে উঠল। আমি উঠে দাঁড়ালাম, ড. মান্নানও আমার সঙ্গে উঠে এলেন। দু’পা এগুতেই একজন সামরিক অফিসারের হাতে ধরা পড়লাম। তার হাতের রিভলবার দিয়ে গুলি করতে উদ্যত হলো। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে সদ্য আগত জনৈক উচ্চপদস্থ সামরিক অফিসার আমাদেরকে ‘আন্ডার এ্যারেস্ট’ বলে ঘোষণা করলেন। আমরা বেঁচে গেলাম। আমাদের ধাক্কা মেরে মিলিটারি ভ্যানের কাছে নেয়া হলো। মাটিতে লুটিয়ে পড়া দেহটির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ড. জোহার সাদা জামা রক্তে ভিজে লাল হয়ে উঠেছে, তিনি তখন গোঙাচ্ছেন। আহত ড. জোহার কাছে আমরা যেতে চাইলাম কিন্তু যেতে দেয়া হলো না। জওয়ানদের হাতে ড. মান্নান, ড. মোল্লা এবং আমি তখন বন্দী। জওয়ানরা আমাদের হিড়হিড় করে টেনে খোলা মিলিটারি ভ্যানে তুলে ফেলল। ম্যাজিস্ট্রেট ‘নাছিম’ সাহেবকে ডেকে আমরা চিৎকার করে বললাম, ‘ড. জোহা মরে যাচ্ছেন, তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক’ কিন্তু আমাদের কথাকে তারা কানে তোলেনি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কতিপয় শিক্ষককে বন্দী করে খোলা মিলিটারি ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ খবর শহরে রটে গিয়েছিল, ফলে পথের মোড়ে মোড়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার হাতে মিলেটারি ভ্যান বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল। সেনাবাহিনীর লোকজনকে লক্ষ্য করে ছাত্ররা আড়াল থেকে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারছিল। রাজশাহী শহরের সোনাদীঘির মোড়ে টাউন লন্ড্রির পাশ থেকে একদল ছাত্র আমাদের মুক্তির দাবিতে জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষেই সিটি কলেজের ছাত্র ‘নূরুল ইসলাম’ শাহাদৎবরণ করেন। মিলিটারি ভ্যানটি আমাদের নিয়ে সোনাদীঘির পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত মিউনিসিপ্যাল অফিসের সামনে গিয়ে থামে। পাশেই রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল। দেয়ালের ওপার থেকে কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্ররা মিলিটারি ভ্যান লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল মারতে থাকে। এই সময় ড. মোল্লা সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তাঁকে একটি স্ট্রেচারে করে মিউনিসিপ্যাল অফিসের বারান্দায় নিয়ে গিয়ে আমরা সেবাযতœ করতে থাকি। এক পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য ড. মোল্লাকে মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। মিউনিসিপ্যাল অফিসের একটি ঘরের মেঝেতে আমরা অনেক আহত মানুষের আর্তনাদ শুনতে পেয়েছিলাম। আহত লোকজনকে একটি ঘরে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল। শুনেছি আহতদের মধ্যে ড. জোহাও ছিলেন। কিন্তু আমাদের দেখতে দেয়া হয়নি। বেলা ১২ টার দিকে মিউনিসিপ্যাল অফিসের উপরতলায় আমাদের একটি ছোট কুঠুরিতে (সাময়িক হাজতঘর) আটকিয়ে রাখা হয়। প্রায় ঘণ্টা তিনেক হাজতঘরে কাটানোর পর দেখা গেল মেডিক্যাল কলেজের একদল ছাত্র বেলা ৩ টার দিকে আমাদের খবরাখবর জানতে এসেছে। ড. মান্নান এর মধ্যে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন, আমিও ক্ষুধায় খুব ক্লান্ত। মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে অবিলম্বে হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তাব দেয় কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি নয়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডাক্তারদের তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায়, এমন সময় আকস্মিক একটি খবরে সবাই বিচলিত হয়ে ওঠে। জানা যায়, বুলেট এবং বেওনেটের প্রচ- আঘাতে জর্জরিত ড. জোহা শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ড. জোহার মৃত্যুর খবর জানবার সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন গবর্নর মোনায়েম খানও প্রমাদ গুনতে থাকে। আমাদের জেলহাজত থেকে অবিলম্বে মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ আসে। ড. জোহার মৃত্যু শুধু আমাদেরই জেলহাজত থেকে মুক্ত করেনি। তাঁর মৃত্যু সমগ্র বাংলাদেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছে। ড. জোহা নিজে সক্রিয় রাজনীতি করেননি, এ কথা হয়ত সত্য; কিন্তু ড. জোহা হত্যা অবশ্যই দেশের রাজনৈতিক ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সব হত্যার প্রতিক্রিয়া একই রকম হয় না। ড. জোহার আগে বাংলাদেশের কোন বুদ্ধিজীবী অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অধ্যাপক রাজনৈতিক আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, তেমন উদাহরণ নেই। যে কারণে তুলনামূলকভাবে ড. জোহা হত্যার প্রতিক্রিয়া হয় ব্যাপক। ড. জোহা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জনপ্রিয় শিক্ষক। দেশজুড়ে ছিল তাঁর অসংখ্য গুণগ্রাহী ছাত্রছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে, এ খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র দেশে বিদ্রোহের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। কারফিউ ভঙ্গ করে হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে আসে। সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। দেশে একটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান ঘটে যায়। ফলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পান শেখ মুজিব। জেল থেকে মুক্ত হবার পরপরই ‘বঙ্গবন্ধ’ু উপাধিতে ভূষিত হন তিনি। আন্দোলনেব মুখে একে একে পতন ঘটে জেনারেল আইয়ুব এবং জেনারেল ইয়াহিয়া খানের। বঙ্গবন্ধুর গতিশীল নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। কাজেই এ কথা আজ ঐতিহাসিকভাবে সত্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং ড. জোহা হত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে ড. জোহাকে হত্যার সঙ্গে সঙ্গে দেশে যে গণঅভ্যুত্থান ঘটে, তারই শেষ পরিণতি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা। শহীদ ড. জোহার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। লেখক: সাবেক উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
×