ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবলের পুরস্কার বিতরণীতে প্রধানমন্ত্রী

প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম হবে

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম হবে

রুমেল খান ॥ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা দেখতে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিল ১৫ হাজারেরও বেশি ক্ষুদে স্কুল শিক্ষার্থী। তাদের কলকাকলিতে মুখর ছিল গ্যালারি। মনোরম ডিসপ্লে, সঙ্গীতানুষ্ঠান... সবকিছুই ছিল মনোমুগ্ধকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন তখন চারদিকে বয়ে যায় খুশির বন্যা। স্টেডিয়ামের পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছিল এ যেন এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠান। দুটি ফাইনাল ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্যালারিতে বসে ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করেছেন ক্রীড়াপ্রেমী এই প্রধানমন্ত্রী। এ টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া ক্ষুদে ফুটবলারদের খেলায় মুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সত্যি আনন্দিত এই টুর্নামেন্টের খেলা দেখে। আমি জানি না পৃথিবীর অন্য কোন দেশে কোন টুর্নামেন্টে এত দলের অংশগ্রহণে খেলা হয় কিনা। এই ছোট ছোট শিশুরা এত সুন্দর নৈপুণ্য দেখিয়েছে যে আমি মুগ্ধ। মাঝে মাঝে মনে হয় যে বড়দেরও হার মানিয়ে দিয়েছে আজকে আমাদের এই শিশুরা। স্কুলগুলো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের খেলাধুলার বিষয়ে যেন আরও একটু মনোযোগী হয়, সে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। খেলাধুলার উন্নয়নে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দেবার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরাই বেশি খেলবে ও অনুশীলন করবে। তিনি আরও বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। শুধু এখানে যারা উপস্থিত আছে সেই ছোট্ট সোনামনিরাই নয়। সমগ্র বাংলাদেশে যারা এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে তাদের সবাইকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আমি তাদের জন্য দোয়া করি যেন তারা স্কুলে আরও ভালভাবে খেলে ভবিষ্যতে আরও ভাল খেলা উপহার দিতে পারে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৫ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৫-এর যা কিছু সেরা: ছেলেদের আসরে এবার তৃতীয় হয়েছে ঢাকার ডেমরার দোলাইপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর মেয়েদের আসরের তৃতীয় স্থান অধিকারী দল হলো ঝিনাইদহের শৈলকুপার দোহারো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তারা পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে। দুই দলের প্রতিটি খেলোয়াড় পেয়েছে ৫ হাজার টাকা করে। দ্বিতীয় স্থান অধিকারী দল পেয়েছে ৭৫ হাজার টাকা করে। দলের খেলোয়াড়রা পেয়েছে ৭ হাজার টাকা করে। ছেলেদের বিভাগে রানার্সআপ হয় দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মরিচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মেয়েদের বিভাগে রানার্সআপ হয় রাজশাহীর বাঘমারার খর্দ্দকৌড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর উভয় বিভাগের চ্যাম্পিয়ন দল পায় ১ লাখ টাকা করে। খেলোয়াড়রা পায় ১০ হাজার টাকা করে। ছেলেদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আর মেয়েদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় ময়মনসিংহের ধোবাউড়া কলসিন্দুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেরা খেলোয়াড় হয়েছে ছেলেদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন রাজাখালী স্কুলের আবিদ হাসান এবং মেয়েদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন দল কলসিন্দুরের শামসুন্নাহার। তারা উভয়েই পায় ২৫ হাজার টাকা করে। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মরিচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাফি ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া কলসিন্দুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রোজিনা আক্তার। তারা দুজনেই পায় ২৫ হাজার টাকা করে।
×