ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রী লাঞ্ছিত

এসআই রতনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

এসআই রতনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সোমবার রাতে পুরান ঢাকার আলু বাজারে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্ত করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এ ঘটনায় বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম ও বিমান বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য আব্দুর রাজ্জাক এবং স্বর্ণের বার বহনকারী রেজাউল করিমকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আলোচিত এসআই রতন কুমার হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার সিএমএম আদালত। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাও গ্রেফতার হয়নি। তবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলছে। সোমবার রাতে প্রায় ৯শ’ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার নিয়ে যাচ্ছিল রেজাউল করিম। এ সময় বনানী থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম ও বিমান বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত আব্দুর রাজ্জাক তার গতিরোধ করে। পরে স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। চিৎকার চেঁচামেচিতে জনতা হাতেনাতে তাদের ধরে বংশাল থানা পুলিশে হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, ঘটনাটি তদন্ত করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (লেজিস্টিক) ওয়াই এম বেলালুর রহমানকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাশরুকুর রহমান খালেদ ও লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ। এদিকে ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিক্সায় বাসায় ফেরার সময় মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের কাছে আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী পুলিশ কর্তৃক তল্লাশির শিকার হন। এসআই রতন ওই ছাত্রীকে একটি দোকানের ভেতরে নিয়ে তল্লাশি করেন। তল্লাশিকালে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে এসআই রতন দেহ ব্যবসা ও ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ আনেন। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর স্বামী মামলা দায়ের করেন। ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করতে ডিএমপি ও তেজগাঁও বিভাগের তরফ থেকে দুইটি কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সালেহ উদ্দিন আহম্মেদ বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এসআই রতনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ ব্যাপারে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জনকণ্ঠকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত তারা আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পাননি। পরোয়ানা হাতে পেলেই তাকে গ্রেফতার করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। যদিও তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর রয়েছে। রাত আটটা পর্যন্ত রতন গ্রেফতার হয়নি। তবে যেকোন সময় গ্রেফতার হতে পারে। এসআই রতনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে। সে মামলার গভীর তদন্ত চলছে।
×