স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের পাথর রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে গত দুইদিন ধরে এই বন্দর দিয়ে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশে পাথর আমদানি। গত কয়েক মাস ধরে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য এই বন্দর দিয়ে আমদানি করা হচ্ছিল স্টোন বোল্ডার ও স্টোন চিপস পাথর। ভারত থেকে পাথর আসা বন্ধ হওয়ায় এসব উন্নয়ন প্রকল্প হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে হিলি বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্য রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিএ্যান্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনে পাঠানো এক চিঠিতে ভারত হিলির ব্যবসায়ীরা জানান, হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাথর রফতানি করা হচ্ছিল। কিন্তু বন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত জায়গার কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে ভারত থেকে পাঠানো পাথরবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে যাওয়ার পর সেগুলো রাস্তার ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে সময়মতো ট্রাক থেকে পাথর খালাস করা হয় না। ব্যবসায়ীরা ওই চিঠিতে আরও জানান, ট্রাক থেকে পাথর খালাসে তিন-চার দিন সময় লাগার কারণে ভারতের ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত ট্রাকভাড়া গুনতে হয়। এছাড়া পাথর খালাস ও পরিবহন করার মতো পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও নেই বাংলাদেশের পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি এর আগেও পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। অনুরোধ করা হয়েছিল, পানামা পোর্টের বাইরে পাথর খালাস ও পরিবহন করার অনুমতি দেয়ার জন্য। কিন্তু পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি। তাই এসব কারণে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাথর রফতানি বন্ধ করে দেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন জানান, ভারতের হিলির ব্যবসায়ীরা পানামা পোর্টের জায়গা স্বল্পতা এবং পানামা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে মঙ্গলবার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠির আলোকে হিলির ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক একটি বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠিয়েছি। তিনি জানান, মঙ্গলবার থেকে এ কারণে বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্য আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।