ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লামের চোখে বিশ্বসেরা গোলরক্ষক নিউয়ের

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

লামের চোখে বিশ্বসেরা গোলরক্ষক নিউয়ের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ম্যানুয়েল নিউয়ের। জার্মান বুন্দেসলিগা, ডিএফবি পোকাল, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, ক্লাব বিশ্বকাপ ছাড়াও দেশের হয়ে স্বপ্নের বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। ২৯ বছর বয়সী বেয়ার্ন মিউনিখের এই গোলপোস্টের অতন্ত্রপ্রহরীর পারফর্মেন্সে মুগ্ধ ফিলিপ লাম। তাই ক্লাব সতীর্থ ম্যানুয়েল নিউয়েরকে বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক হিসেবে মন্তব্য করেছেন জার্মানির সাবেক এই অধিনায়ক। এ বিষয়ে ফিলিপ লাম বলেন, ‘নিউয়ের বিশ্বের সেরা গোলরক্ষকদের একজন। আমার মতে, সে নিঃসন্দেহে বিশ্বসেরা গোলরক্ষক। তাই তাকে ছাড়া আমার দলে অন্য কাউকে ভাবতেই পারি না।’ ছয় ফুট চার ইঞ্চি উচ্চতার নিউয়ের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন শালকে জিরো ফোরের জার্সিতে। প্রায় অর্ধযুগেরও বেশি সময় পর শালকে থেকে জার্মানির সেরা ক্লাব বেয়ার্ন মিউনিখে যোগ দেন তিনি। এরপর আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এই সময়ের মধ্যেই বুন্দেসলিগার তিন শিরোপা জিতেছেন তিনি। দুটি জার্মান কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, ক্লাব বিশ্বকাপ ছাড়াও ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ট্রফিটাকেও ছোঁয়ে ফেলেন তিনি। আর এই সময়টাতে ম্যানুয়েল নিউয়েরে খুব কাছাকাছি ছিলেন ফিলিপ লাম। তাই নিউয়েরের প্রতিভা সম্পর্কে লামের চেয়ে খুব বেশি ভাল অন্য কারও জানারও কথা নয়। জার্মানিকে বিশ্বকাপের শিরোপা উপহার দেয়ার পরই জাতীয় দল থেকে বিদায় নেয়া লাম বলেন, ‘প্রতিভাবান হওয়ার জন্য উচ্চতা এবং আকৃতি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। আপনি যদি উচ্চ লেভেলে নিজেকে মেলে ধরতে চান তাহলে আপনার তিন বিষয়ে খুব গুরুত্ব দিতে হবে। তবে অসাধারণ মাপের সব খেলোয়াড়রাই খেলাটাকে খুব ভাল বুঝে এবং জানে। প্রকৃতপক্ষে সাফল্যের জন্য প্রয়োজন প্রতিভা, কৌশলগত দক্ষতা এবং খেলাটাকে খুব ভাল করে বুঝা।’ ২০১৪ সালে জাতীয় দল থেকে বিদায় নেন ফিলিপ লাম। তবে তার আগেই দেশকে বিশ্বকাপ ট্রফি উপহার দিয়ে যান তিনি। দীর্ঘ দুই যুগ পর জার্মানিকে শিরোপা পনরুদ্ধার করার অবিস্মরণীয় কীর্তি লামকে নিয়ে যায় আরও অনেক উচ্চতায়। প্রকৃতপক্ষে এসবের মূলেই ছিল ফুটবলকে বুঝতে পারা। তা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন লাম। তিনি বলেন, ‘মিডফিল্ডার হিসেবে আমি অনুর্ধ ১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলাম। তাছাড়াও আমি বিভিন্ন পজিশনে খেলতে অভ্যস্ত ছিলাম। আমি মনে করি আমার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল ফুটবলকে বুঝতে পারা। পেপ (গার্ডিওলা) যখন আমাকে মিডফিল্ডার হিসেবে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখনও আমি খুব সন্তুষ্ট ছিলাম। এটা আসলে আমার যৌবনকেই মনে করিয়ে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে ছিল নতুন চ্যালেঞ্জও। নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়াটা আমার কাছে সবসময়ই খুব আনন্দের। অধিনায়ক হিসেবে জার্মানিকে নেতৃত্ব দেয়াটাও ছিল আমার জন্য এক শক্তি। পরবর্তীতে রাইটব্যাক হিসেবে যদিও পারফর্মেন্স করেছি আমি।’ ২০০২ সালে বেয়ার্ন মিউনিখের সিনিয়র দলে যোগ দিয়েছিলেন ফিলিপ লাম। এরপর শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে চলা। জার্মান জায়ান্টদের সঙ্গে আরও দুই বছরের চুক্তি আছে তার। আর নিজের প্রিয় এই ক্লাবেই অবসর নিতে চান তিনি। এ বিষয়ে লাম বলেন, ‘বেয়ার্ন থেকেই অবসর নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।’
×