ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ প্রহরায় আদালত ত্যাগ

যবিপ্রবি ছাত্র রিয়াদ হত্যা মামলার বাদীকে এজলাসে হুমকি

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

যবিপ্রবি ছাত্র রিয়াদ হত্যা মামলার বাদীকে এজলাসে হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম রিয়াদ হত্যা মামলার বাদীকে আদালত কক্ষেই হুমকি দেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাসের (বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত) নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। পরে মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম রাজুকে পুলিশ প্রহরায় আদালত থেকে নিয়ে খুলনায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পুলিশ বাদীকে নিরাপদে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রির আদালতে এ ঘটনা ঘটে। মামলার বিবরণে জানা যায়, নাইমুল ইসলাম রিয়াদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং তিনি শহীদ মশিয়ুর রহমান হলের ৪১৭ নম্বর কক্ষে থাকতেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়। এর জের ধরে ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুর দুইটার দিকে দলীয় সন্ত্রাসীরা রিয়াদকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৫ জুলাই রিয়াদের মামা রফিকুল ইসলাম রাজু বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ এবং পরে সিআইডি পুলিশ তদন্ত করে। তদন্ত শেষে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এবং জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদককে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রির আদালতে এ মামলার শুনানির দিন ছিল। মামলার বাদী রাজু শুনানিতে হাজিরা দিতে আসেন। কিন্তু শুনানি শেষে আদালত কক্ষেই ভয়ভীতি দেখানো হয় বাদীকে। মামলার বাদী রাজু জানান, শুনানি শেষ হলেও আসামিরা প্রায় এক ঘণ্টা এজলাসে ছিলেন। এরপর সেখানে তাদের লোকজন বাড়তে থাকে। প্রায় ৪০-৫০ জন আদালতের বারান্দায় জড়ো হয়। তাদের মধ্যে থেকে একজন এসে তাকে বাইরে বের হয়ে আসতে বলে। সে জানায়, যেখানে যাওয়ার দরকার সেখানে তারাই পৌঁছে দেবে। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা দিয়ে খুলনায় পৌঁছে দেয়। কারা ভয়ভীতি দেখিয়েছে জানতে চাইলে রাজু বলেন, আসামি পক্ষের লোকজন। তবে তিনি তাদের নাম জানাতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এখন যে অবস্থা নাম বলে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারে।
×