ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তিযুদ্ধের নাটক ‘বাবার সাইকেল’

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২০ মার্চ ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধের নাটক ‘বাবার সাইকেল’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাশেদ একজন গ্রামীণ শিক্ষক! সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের পড়ানোই তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য। যে কারণে স্ত্রী আমিনার আক্ষেপের শেষ নেই। হঠাৎ গ্রামের এক বিখ্যাত বিত্তবানের বাসায় ডাক পড়ে গ্রামীণ এই শিক্ষকের! সেখানে গিয়েই তিনি আবিষ্কার করেন মুক্তিযুদ্ধের সময় খোয়া যাওয়া বাবার সাইকেলটিকে। আপাদমস্তক ভাল মানুষকে আবিষ্কার করেন যুদ্ধের জালাল রাজাকার হিসেবে! ক্রমেই রাশেদ হারিয়ে যায় তার চেনা অতীতে যেখানে বাবা ছোট্ট রাশেদকে সাইকেলে নিয়ে মেলায় যেত, তাকে বাংলাদেশকে চেনাত, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাত। বাস্তবে ফিরে এলেই সে ব্যস্ত হয়ে পড়ত বাবার সাইকেলটা একপলক দেখার জন্য, তাকে স্পর্শ করার জন্য! কিন্তু সে তো রাজাকারের বাসায় বন্দী। এদিকে মোবিনকে পড়ানোর সময় রাশেদ আনমনা হয়ে পড়ত এবং সুযোগ পেলেই সাইকেলের গায়ে হাত বোলাত, তার সঙ্গে কথা বলত! ক্রমেই দায়বদ্ধতায় আড়ষ্ঠ হয় রাশেদের চিত্ত সে এটা মেনে নিতে পারে না এদিকে সবকিছু বুঝতে পেরে জালাল রাজাকার সাইকেলটা সরিয়ে ফেলে। রাশেদ অধিকার দাবি করতেই আসল রূপে ফিরে আসে রাজাকার। সে পুরোটাই অস্বীকার করে রাশেদকে অপমান করে বের করে দেয়। যুদ্ধের এত বছর পর এসেও বাবার সাইকেলটা ফিরে না পাওয়া মানতে পারে না রাশেদ। এরপর আলোকিত ভোর, রাশেদ দরজা খুলতেই দেখে বাবার সাইকেলটা দাঁড়িয়ে আছে। এমনই এক মনোমুগ্ধকর মুক্তিযুদ্ধের গল্পের চিত্রায়ন হয়েছে ‘বাবার সাইকেল’ নাটকে। রাজ্য মাল্টি মিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত এবং দয়াল সাহার রচনায় ‘বাবার সাইকেল’ নাটকটি পরিচালনা করেছেন ফিরোজ আহমেদ। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হোসেন, ড. এনামুল হক, রাজ্য, ফারজানা ইমা, সাজু আহমেদ, উত্তম অধিকারী, রাকিবসহ আরও অনেকে। আগামী ২৬ মার্চ একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচার হবে বলে জানা গেছে।
×