ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ষড়যন্ত্র চলছে

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ২০ মার্চ ২০১৬

বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ষড়যন্ত্র চলছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে এস. আলম গ্রুপ ও চায়না সেবকো এইচটিজি কোম্পানীর যৌথ উদ্যোগে নির্মিতব্য কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে চলছে ষড়যন্ত্র। পাশাপাশি এই প্রকল্পকে নিয়ে কুচক্রী মহল রক্তক্ষয়ী খেলায় মেতেছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ঈর্ষানিত হয়ে এই কর্মকান্ডে বাঁধাগ্রস্থ হয়ে দাড়িয়েছে কুচক্রী মহল। কয়লা বিদ্যুতের লাভ-ক্ষতি সম্পর্কে এলাকাবাসীর মধ্যে আদৌ সঠিক ধারণা নেই। এলাকার নিরীহ সাধারণ জনগণকে পুঁজি করে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নামানোর পাঁয়তারা করছে সরকার বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন। আজ রবিবার উপকূলীয় এলাকা গন্ডামারায় সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়। এলাকাবাসী এই প্রতিবেদককে কয়লা বিদ্যুতের ক্ষতি সম্পর্কে কোন ধরনের বর্ণনা দিতে পারেনি। পাশাপাশি এলাকাবাসী অভিযোগ করেন কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির পায়তারায় আন্দোলন নেমেছে তারা। নির্মিতব্য কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখতে ও সঠিক বিষয়টি জনগণের সামনে নিয়ে আসার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান এলাকার সাধারণ জনগণ। এ ব্যাপারে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সহকারী সমন্বয়কারী বাহাদুর আলম হিরণ জনকন্ঠকে জানান, আগামী মাসেই প্রধানমন্ত্রীর হাতে আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন হতে যাচ্ছে চায়না ও এস. আলম গ্রুপ যৌথ উদ্যোগে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকতা। ঈর্ষান্বিত হয়ে দেশ বিরোধী একটি মহল গন্ডামারা এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বিরোধী বসত ভিটা রক্ষা কমিটির আহবায়ক জামাল উদ্দিন চৌধুরীকে দেখানো হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এই জামাল উদ্দিনের বাড়ি বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুরে। তার সাথে উপকূলীয় এলাকা গন্ডামারা বড়ঘোনা, সরলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ হাছিলের জন্য এই ষড়যন্ত্রমূলক কাজে লিপ্ত হয়েছে তিনি ও তার দোসররা। উল্লেখ্য, প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩২০ মেগাওয়াট সম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে বাঁশখালীর গন্ডামারায়। বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান এস. আলম গ্রুপ ৭০% ও চায়না সেফকো এইচটিজি-৩ কোম্পানীর ৩০% যৌথ চুক্তিতে এই প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে।
×