ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বে-মেয়াদিতে রূপান্তরিত হচ্ছে ৩য় আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড

প্রকাশিত: ০০:৫৬, ২০ মার্চ ২০১৬

বে-মেয়াদিতে রূপান্তরিত হচ্ছে ৩য় আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) পরিচালিত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩য় আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ডও বে-মেয়াদিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। মেয়াদি এ ফান্ডটিকে বে-মেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরে পূর্ণ সম্মতি দিয়েছেন ইউনিটহোল্ডাররা। বুধবারে ফান্ডের ইউনিটহোল্ডার সভায় উপস্থিত ১০০ শতাংশ ইউনিটহোল্ডার বে-মেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরের পক্ষে ভোট প্রদান করেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ১ম, ২য়, ৫ম আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ডকেও বে-মেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরে সম্মতি দিয়েছিলেন ফান্ডগুলোর ইউনিটহোল্ডাররা। এদিকে ৩য় আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পাওয়ার পর বে-মেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরের কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুঁজিবাজারে এ ফান্ডটির লেনদেন বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। অবশ্য ইউনিটহোল্ডারদের সভা অনুষ্ঠানের জন্য ঘোষিত রেকর্ড ডেট ৬ মার্চ থেকে ফান্ডটির ইউনিটের শেযারবাজারে লেনদেন বন্ধ রয়েছে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বে-মেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরে ইউনিটহোল্ডারদের অনুমোদন দেওয়ার পর এ ফান্ডের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। ২০১৫ সালের ২৯ জুন বিএসইসির কমিশন সভায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যে সব ফান্ডের মেয়াদ ১০ বছর পার হয়েছে সেসব ফান্ড অবসায়ন বা বে-মেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এর মধ্যে আইসিবি ৩য় মিউচুয়াল ফান্ডকে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অবসায়ন বা বে-মেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরের সময় বেঁধে দিয়েছিল বিএসইসি। এ সময়ের মধ্যে ফান্ডটি অবসায়ন বা রূপান্তরে মতামত নেওয়ার জন্য গত ৭ জানুয়ারি ইউনিটহোল্ডারদের সভাও আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু বিএসইসির এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দায়েরের ফলে আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তীতে ১১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ উচ্চ আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি ফান্ডগুলোকে গুটিয়ে নেওয়ার জন্য ফের নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু ওই নির্দেশনার স্থগিতাদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে ফের রিট করা হলে আদালত কোনো আদেশ দেননি। আদেশ না দেওয়ার কারণে বিএসইসির নির্দেশনা বহাল থাকে। ফলে অবসায়ন বা রূপান্তরে ইউনিটেহোল্ডারদের সভা আহ্বান করছে ফান্ডগুলো।
×