ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নেত্রকোনায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১ ॥ পাঁচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২১ মার্চ ২০১৬

নেত্রকোনায় কালবৈশাখী  ঝড়ে নিহত ১ ॥ পাঁচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২০ মার্চ ॥ পূর্বধলা ও সদর উপজেলায় শনিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর ও গাছ পালার নিচে চাপা পড়ে একজন নিহত এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে পাঁচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক কাঁচা, টিনশেড ও আধা পাকা ঘরবাড়ি। এছাড়া বহু গাছপালা উপড়ে ও ভেঙ্গে পড়েছে। পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিতে আগাম বোরো ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। জানা গেছে, শনিবার রাত দেড়টার দিকে পূর্বধলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মেঘশিমুল, রামকান্দা, উদুয়ারকান্দা, জারিয়া ইউনিয়নের মৌদাম, বাড়হা, নোয়াগাঁও, হোগলা ইউনিয়নের শিবপুর, ভিকুনিয়া, সদর ইউনিয়নের জুগলি, রাবধার, ভিতরগাঁও, হিরিভিটা, দিঘজান, আগিয়া ইউনিয়নের টিকুরিয়া এবং নেত্রকোনা পৌরসভাসহ আশপাশের গ্রামের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এ সময় শিবপুর গ্রামে ঘরের নিচে চাপা পড়ে আব্দুর রাশিদ (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। বিভিন্ন স্থানে আহত হন কমপক্ষে আরও ১০ জন। এদের মধ্যে পূর্বধলার ভিতরগাঁও গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৬০) ও হেলেনা খাতুনকে (৫০) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সদর উপজেলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে ঝড়ে জুগলি ও হিরিভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিঘজান বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌদাম স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা এবং মেঘশিমুল আদর্শ শিশু কানন একাডেমির ভবন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া শতাধিক কাঁচা টিনশেড ও আধা পাকা বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় শিলাবৃষ্টিতে আগাম বোরো ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। রবিবার পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর হোসেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে পাঁচ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনও ও ত্রাণ বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×