ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিয়ানমারে পণ্য পাচারে অভিনব কৌশল

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২২ মার্চ ২০১৬

মিয়ানমারে পণ্য পাচারে অভিনব কৌশল

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির টহল ও কড়াকড়ি আরোপ দেখে চোরাচালানিরা পণ্য পাচারে গ্রুপ বেঁধেছে। প্রতিদিন নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে তারা। টেকনাফের হ্নীলা ওয়াব্রাং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে গ্রুপভিত্তিক চোরাচালানিরা সার-ডিজেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মাল পাচার করছে মিয়ানমারে। বিনিময়ে সে দেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে ইয়াবার চালান। টহলরত বিজিবি জওয়ানদের পাহারায় চিহ্নিত লোক নিয়জিত রেখে ৩২ জনের সিন্ডিকেট চোরাচালানি ব্যবসায় নেমেছে। তারা গ্রুপ ভিত্তিক ৮ জন করে বিভক্ত হয়ে মিয়ানমার থেকে নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে আসছে দেশে। গ্রুপটির প্রধান হচ্ছে বদি আলম। চোরাই ব্যবসার খাতিরে চার গ্রুপে ৮ জন করে বিভক্ত করা হলেও লাভ-ক্ষতির হিসেবের বেলায় সকলে এককাট্টা। ওয়াব্রাং ঘাট দিয়ে বদি আলম গ্রুপের সদস্যরা প্রতিরাতে কয়েক লাখ টাকার মাল মিয়ানমারে পাচার করে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, রাত জেগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পাহারা দেয়া গ্রুপটি ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুমায়। সকাল থেকে অপর গ্রুপ মিয়ানমার থেকে সেদেশের চোরাচালানিদের চাহিদামতো মাল কিনে রাখে। আরেকটি গ্রুপের সদস্যরা মালগুলো দিনের বেলায় স্বাভাবিকভাবে নিয়ে রাখে নির্ধারিত স্থানে। গ্রুপের বাছাইকৃত সদস্যরা টাকা সংগ্রহ এবং আদান প্রদান করে থাকে। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বদি আলম গ্রুপের প্রধান বদি আলম মুঠোফোনে কার কী দায়িত্ব জানিয়ে দেয় সকল সদস্যকে। এভাবে প্রতিরাতে ওয়াব্রাং ঘাট দিয়ে মিয়ানমারে পাচার হয়ে যাচ্ছে সার, ডিজেল, ময়দা, চিনি, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। অপরদিকে মিয়ানমার থেকে দেশে আসছে, ইয়াবা, সিগারেট, শুকনো সুপারি ও ক্যালসিয়াম-কপিসহ অন্যান্য পণ্যাদি। সূত্রমতে, চোরাচালানিরা রাতের বেলায় জেলের ভান করে নাফনদীতে বিচরণ করে বেড়ায়। সঙ্গে থাকে নৌকা ও মাছ ধরার উপকরণ। প্রতিজনের হাতে থাকে এ মুঠোফোন। বিজিবির টহলদলের গতিবিধি লক্ষ্য রাখতে নিয়োজিত থাকে তাদের চিহ্নিত লোকজন। তাদের গ্রীন সিগন্যাল পেলে শুরু হয় পণ্য পাচার কার্যক্রম। স্থানীয় জনসাধারণ ওয়াব্রাং পয়েন্টে বিজিবির টহল জোরদার করার দাবি জানিয়েছে। নীলফামারীতে গর্তে পড়ে বাক প্রতিবন্ধী নিহত স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বোমা মেশিনের মাধ্যমে মাটির তলদেশ থেকে পাথর উত্তোলনের বিশাল গর্তে পড়ে নিহত হয়েছে নজরুল ইসলাম (৪০) নামের এক বাক প্রতিবন্ধী। ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়িবাড়ী মুন্সিপাড়া গ্রামে। সোমবার ভোরে রংপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি এসে পাথর উত্তোলনের গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। নজরুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের পুত্র। এলাকবাসী জানায়, নজরুল ইসলাম বাড়ি পার্শ¦বর্তী পাথর উত্তোলন করার গর্তে রবিবার বিকেলে পড়ে যায়।
×