ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এবার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ বাড়িয়ে করা হয় ৩৫

চট্টগ্রাম বিএনপি ॥ প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জল্পনা

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২২ মার্চ ২০১৬

চট্টগ্রাম বিএনপি ॥ প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জল্পনা

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে নেই চট্টগ্রামের কোন নেতা। কর্নেল (অব) অলি আহমদ বীরবিক্রম দল ছেড়ে এলডিপি গঠনের পর স্থায়ী কমিটির সদস্য হয়েছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। মানবতাবিরোধী অপরাধে তার ফাঁসির দ- কার্যকর হওয়ায় সর্বোচ্চ এ কমিটিতে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব নেই। ফলে দলের এবারের কাউন্সিলে চট্টগ্রামের শীর্ষনেতাদের মধ্য থেকে ওই ফোরামে একাধিক নেতার স্থান হতে যাচ্ছে- এমন আলোচনা ছিল বিএনপি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে। কিন্তু সদ্যসম্পন্ন কাউন্সিলে কার্যত দলের চেয়ারপার্সন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ ছাড়া অন্য পদগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। যেহেতু পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি সেহেতু চট্টগ্রামের নেতারা কে কোন পর্যায়ে স্থান পেতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে রয়েছে নানা বিশ্লেষণ। চট্টগ্রামে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তারা হলেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এবং চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম থেকে অন্তত দু’জন নেতা স্থায়ী কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন- এমন আভাস রয়েছে কেন্দ্র থেকে। কিন্তু তারা কারা, তা এখনও পরিষ্কার না হওয়ায় আলোচনা যেমন রয়েছে, তেমনিভাবে নেতাদের অনুসারীরাও আছেন উৎকণ্ঠার মধ্যে। চট্টগ্রামে এই তিন নেতার বাইরে আরও তিন সিনিয়র নেতা রয়েছেন। তারা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ও দলের বর্তমান কেন্দ্রীয় শিশু বিষয়ক সম্পাদক রোজী কবির। ভাইস চেয়ারম্যান অথবা চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদে এই তিন নেতার স্থান হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। বিএনপির কাউন্সিলে এবার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ১৭ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করা হয়েছে। সে হিসেবে এই পদে আরও ১৮ নেতার অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু স্থায়ী কমিটির পরিধি বাড়েনি। রয়েছে আগের মতোই ১৯ সদস্যের। তবে সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও আর এ গণির মৃত্যু ও সাকা চৌধুরীর ফাঁসির দ-জনিত কারণে তিনটি পদ শূন্য হয়েছে। এছাড়া বার্ধক্যজনিত কারণে তরিকুল ইসলাম, এম শামসুল ইসলাম ও সরোয়ারী রহমানকে এবার স্থায়ী কমিটিতে রাখা না-ও হতে পারে- এমন শোনা যাচ্ছে দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে। যদি তেমনই হয়, তাহলে স্থায়ী কমিটিতে নতুন অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে ৬ জনকে। আর এর মধ্যে চট্টগ্রামের ভাগ্যে কয়টি জোটে তা নিয়ে চলছে অভ্যন্তরীণ হিসেবনিকেশ। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পেতে অনেক সিনিয়র নেতাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের এই তিন নেতার বাইরে যাদের নাম শোনা যায় তারা হলেন- ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও বেগম সেলিমা রহমান। তাছাড়া কক্সবাজারের সংসদ সদস্য ও দলের বর্তমান যুগ্মমহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের নামও শোনা যায়। সে হিসেবে ৯ জন নেতা রয়েছেন স্থায়ী কমিটিতে পদপ্রত্যাশী। বর্তমানে এ ফোরামে শূন্যপদ তিনটি, বার্ধক্যজনিত কারণে কাউকে বাদ দেয়া হবে কিনা, তা অনিশ্চিত। যদি তেমন হয়েও থাকে মোট ৬টি পদের মধ্যে চট্টগ্রামের একাধিক পদ পাওয়া অনেকের মতে যথেষ্ট কঠিনই হবে। তবে চট্টগ্রামের প্রত্যাশী তিনজনের মধ্যে অন্তত দু’জন স্থায়ী কমিটিতে যেতে পারেন- এমনই আভাস রয়েছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সূত্রে। চট্টগ্রামের বাকি তিন সিনিয়র নেতার মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন এবার ভাইস চেয়ারম্যান হতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে এ নিয়ে তার নিজের কোন মন্তব্য নেই। বাকি দুই সিনিয়র নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ও রোজী কবিরকে ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে সন্তুষ্ট থাকতে হতে পারে।
×