ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা গঠন করল ‘ছোটদের মন্ত্রিপরিষদ’ ;###;কোলাহল মুখরিত শিক্ষাঙ্গনে ছিল অন্য রকম গণতান্ত্রিক আবহ

উৎসবের আমেজে শিক্ষার্থীর ভোটে স্টুডেন্ট কেবিনেট

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২২ মার্চ ২০১৬

উৎসবের আমেজে শিক্ষার্থীর ভোটে স্টুডেন্ট কেবিনেট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একে কেবল নির্বাচন বললে ভুল হবে। এক কথায় ‘দেশজুড়ে নির্বাচনী উৎসব’। যে উৎসবে সামিল হতেই সোমবার বিদ্যালয়ে এসেছিল লাখ লাখ শিক্ষার্থী। যাদের কোলাহলে মুখরিত ছিল শিক্ষাঙ্গন। শুরু হয় ভোট দেয়ার পালা। নির্বাচনী উৎসবে সামিল হয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরই সরাসরি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করল নিজেদের প্রতিনিধি। গঠন হলো ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট’। কেউ হলো শিক্ষামন্ত্রী, কেউ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী, কেউ পরিবেশ মন্ত্রী আবার কেউ হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বও পালন করে শিক্ষার্থীরাই। শৃঙ্খলা রক্ষায় কেউ কেউ হয়েছে র‌্যাব, আবার কেউ হয়েছে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য। সে এক অন্য রকম গণতান্ত্রিক আবহ। গেল বছর পরীক্ষামূলকভাবে আয়োজিত নির্বাচনে সফলতার ধারাবাহিকতায় সোমবার দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হলো স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন। ইতোমধ্যেই যেটি পরিচিতি পেয়েছে ‘ছোটদের মন্ত্রিপরিষদ’ হিসেবে। কিশোর বয়স থেকে গণতন্ত্রের চর্চা ও অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা এবং শতভাগ ছাত্রছাত্রীর ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধের উদ্দেশ্য নিয়ে এবার স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন হচ্ছে দুই দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন শেষ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে দ্বিতীয় দফায় এ কেবিনেট নির্বাচন হবে আগামী ৩১ মার্চ। আজকের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়া ১০২টি উপজেলায় দ্বিতীয় দফার স্টুডেন্টস কেবিনেট হবে আগামী ৩১ মার্চ। ১৬ হাজার ৪২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ছয় হাজার ৫৬৭টি দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ৪৮৭টি উপজেলা ও আটটি মহানগরে ২২ হাজার ৯৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বছর নির্বাচন হচ্ছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত আটজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে এক বছরের জন্য স্টুডেন্টস কেবিনেট গঠিত হবে। এক লাখ ৮৩ হাজার ৯২৮টি পদের জন্য প্রায় পাঁচ লাখ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মোট ভোটার ৯৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯৫ জন। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মার্চ ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। একজন ভোটার প্রত্যেক শ্রেণীতে একটি, সর্বোচ্চ তিন শ্রেণীতে দুটি করে মোট আটটি ভোট দিতে পারছে। প্রত্যেক শ্রেণী থেকে একজন করে পাঁচ শ্রেণী (ষষ্ঠ থেকে দশম) থেকে পাঁচ জন ও পরবর্তী সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত তিন শ্রেণীর তিন জন মোট আট জন নিয়ে স্টুডেন্টস কেবিনেট গঠিত হবে। কেবিনেট প্রতিমাসে কমপক্ষে একটি সভা করবে। শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবেন। প্রতি ছয় মাস অন্তর সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে কেবিনেটের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। স্টুডেন্টস কেবিনেটের কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণ, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী বিতরণ, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পানিসম্পদ, বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি দিবস পালন ও অনুষ্ঠান সম্পাদন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন এবং আইসিটি। নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং শৃঙ্খলার দায়িত্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাই পালন করছে। শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকরা সার্বিক সহযোগিতা করছেন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা এই নির্বাচনের ভোটার, তবে নির্বাচনে কোন প্রতীক ব্যবহার করার সুযোগ নেই। সোমবার প্রথম দিনের নির্বাচন শেষে এ উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, কিশোর বয়স থেকে গণতন্ত্রের চর্চা, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা এবং শ্রদ্ধা, শিক্ষকদের সহায়তা, শতভাগ শিক্ষার্থীর ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতা করা, শিখন-শিখানো কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকা-ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের ভোটে নির্বাচন করা হচ্ছে কেবিনেট সদস্য। এ নির্বাচন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে কোন পোস্টার ছাপানো যায়নি, প্রার্থীদের কোন প্রতীকও ছিল না। তবে প্রার্থীরা হাতে লেখা একাডেমিক ও শিক্ষা উন্নয়নমুখী সেøাগান সম্বলিত পোস্টার ব্যবহার করার সুযোগ পায়। স্টুডেন্টস কেবিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এদিকে প্রথম দিন ছোটদের মন্ত্রিপরিষদ গঠনকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিল রীতিমতো উৎসবের আমেজ। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই নিয়ম মেনে শিশুরা নিজেরাই ভোটার, প্রার্থীও হয়েছে নিজেরাই। আবার নিজেরাই পালন করেছে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। লাইন ধরে ভোট চলেছে উৎসবমুখর পরিবেশে। শিক্ষামূলক ছোট ছোট সেøাগানে হাতে লেখা ছোট পোস্টারে ছেয়ে যায় বিদ্যালয়। ঢাক-ঢোলসহ বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রী যাবেন পর্যবেক্ষণে। তাই নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর মতিঝিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জুড়ে উৎসবের আমেজ ছিল একটু বেশিই। সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, রশিতে টানানো হয়েছে ছোট ছোট পোস্টার। তাতে লেখা শিক্ষামূলক নানা সেøাগান। ‘দক্ষ দেখে পক্ষ নিন, যাচাই করে ভোট দিন’, ‘এখন থেকে ভোট দেই, গণতন্ত্রের সারথী হই’Ñ এমন সেøাগান ছিল রঙ-বেরঙের পোস্টারে। ‘বন্ধু তোমার একটি ভোটে, যোগ্য প্রার্থী যাবে জিতে’, ‘স্নিদ্ধার দুই নয়ন, আমাদের স্কুলের উন্নয়ন’, ‘ভোটে এসেছি প্রথমবার, পাশে চাই আমি সবার’- লাল-কমলা-হলুদ কাগজে হাতে লেখা এরকম শত শত পোস্টারে রঙিন হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নির্বাচন পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শনে আসার পর ক্ষুদে ভোটারদের মধ্যে উত্তেজনা-উল্লাস যেন আরও বেড়ে যায়। শিক্ষামন্ত্রী ভোটগ্রহণ কক্ষে পরিণত হওয়া স্কুলের শ্রেণীকক্ষের সামনে লাইনে দাঁড়ানো ভোটার-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। ‘কেমন লাগছে ভোট দিতে? কোন সমস্যা হচ্ছে কি না?’- এসব প্রশ্ন করে খোঁজখবর নেন তিনি। পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি শিশুকাল থেকেই গণতন্ত্রের চর্চা, সহনশীলতা ও মূল্যবোধ তৈরির উদ্দেশ্যে এই প্রথম মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে তারাই এ দেশ গড়ে তুলবে, পরিচালনা করবে তাই তাদের এখন থেকেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, অন্যের মতের প্রতি সহনশীলতার চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। এই নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীরাই নির্বাচন কমিশনার, তারাই পরিচালক, তাদের দ্বারাই সবকিছু অনুষ্ঠিত করা হচ্ছে। পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষ নয়, অন্যের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যেই তারা চেষ্টা করবে। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলছিলেন ‘আমরা আশা করি, আমাদের ছেলেমেয়েদের মাধ্যমে গণতন্ত্রের এই প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। শিক্ষা, জ্ঞান, দক্ষতার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ও অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল চেতনায় তারা উজ্জীবিত হবে। আমরা যেমনটি চেয়েছিলাম ছোট ছোট শিশুরা নিজেরাই একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক পরিবেশে সেই নির্বাচন করে দেখাল। এদিকে প্রার্থীরাও ছিল উৎফুল্ল। নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কেমন লাগছে? নেতা হতে হলে কী গুণ থাকতে হয়? জবাবে অষ্টম শ্রেণীর সাত-আটজন প্রার্থী একই টেবিলে বসে খেতে খেতে বলছিল, একজন নেতা হতে হলে দক্ষতা, যোগ্যতা, লেখাপড়ায় যোগ্যতা, সকলের সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করার যোগ্যতা, প্রকাশ করার যোগ্যতা লাগে। প্রত্যেকেই বলল, নির্বাচিত হতে পারলে সবার সব সমস্যা জেনে শিক্ষকদের সঙ্গে মিলে মিশে সমাধান করব। নির্বাচনে হেরে গেলেও বিরোধী পক্ষের সঙ্গে মিলে মিশে সব ধরনের সহযোগিতা করব। ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আফরা, কাজল খাদিজা বলল, অনেক ভাল লাগছে তাদের এই নির্বাচন। প্রথমবার ভোট দিচ্ছি, অনেক ভাল লাগছে। বড় হলে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিব। আমাদের কেন্ডিডেট মেহেজাবিন সৎ, পড়াশুনায় ভাল, সবার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে। ভোট দিয়ে নবম শ্রেণীর আসমা আক্তার বলছিল, বেশ ভাল লাগছে। দুই মিনিটও লাগেনি ভোট দিতে। প্রথমবার ভোট দিলাম। প্রভাতিতে অষ্টম শ্রেণীর প্রতিনিধি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তিন জন। ক-শাখা থেকে সিনথিয়া আহমেদ ঝর্ণা, খ-শাখায় তাসনিম মাহবুব রোদেশী, গ-শাখা থেকে মেহেজাবিন হোসেন। তিন বান্ধবীর সঙ্গে দেখা মেলে একটি শ্রেণী কক্ষেই। একই সঙ্গে নির্বাচনে লড়া তিন বান্ধবী টিফিন খেতে ব্যস্ত এটা তো অন্যরকমই লাগার কথা সকলের। কিন্তু এ নির্বাচনে তাই হচ্ছে। ঝর্ণা এবং রোদেশী এর আগেও এই দুই শ্রেণীতে ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিল। আর প্রথমবারের মতো নেতৃত্বের লড়াইয়ে মেহেজাবিন। রোদেশী বলল, তিন শাখাতে হলেও আমরা ভাল বান্ধবী। তাই যেই জিতুক, ‘ডোন্ট মাইন্ড’। প্রার্থীরা জানাল, তিন শাখা মিলিয়ে ২০৭ জন ভোটার। মেহেজাবিন জানাল, এতদিন ধরেই আমরা প্রচার চালিয়েছি। নিজেদের হাতে পোস্টার তৈরি করেছি। এছাড়াও ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছি। আজ কোন ধরনের প্রচার নেই। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দশম শ্রেণীর রুকাইয়া। সে বলছিল, প্রভাতি ও দিবা শাখা মিলিয়ে মোট ৩০ জন প্রার্থী নির্বাচন করছে। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বাছাই করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মেধা ছাড়াও স্কুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, ক্লাসে, পূর্বের রেকর্ড, স্কুলের নিয়ম নীতি, উপস্থিতি এসব বিষয় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। প্রার্থিতা চেয়েও ১২ জন অনুমতি পাননি। ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে গার্লস গাইড। গাইডের সদস্য নবম শ্রেণীর ফাতেমা আক্তার ইভা জানাল, মোট ৫০ জন গার্লস গাইড নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এদিকে একই রকম উৎসব অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও। মিরপুরের আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন অর্থ নেয়া হয়নি। ব্যালট বাক্স, নমিনেশন পত্র এসব স্কুল কর্তৃপক্ষই সরবরাহ করেছে। এতে আট-দশ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। স্টুডেন্টরা কেবল হাতে লেখা পোস্টার নিজেরাই তৈরি করে সুতো দিয়ে টাঙ্গিয়েছে। শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন, আর কিছু শিক্ষার্থী ঢোল বাজিয়ে আনন্দমুখর করে রেখেছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন শিক্ষার্থী রাজিব। তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফেরদৌসী বলল, জাল ভোটের কোন সুযোগ নেই। সবাই সবাইকে চেনে। কোন সমস্যাই হচ্ছে না। নির্বাচন হলো মাদ্রাসায়ও। সারাদেশের মাদ্রাসায়ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ছায়েফ উল্লাহ বলছিলেন, এটি একটি উৎসবের মতো শিশুদের কাছে। অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন। কেউ হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী, কেউ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী, কেউ পরিবেশ মন্ত্রী আবার কেউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শৃঙ্খলা রক্ষায় কেউ কেউ হয়েছে র‌্যাব, আবার কেউ হয়েছে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য।
×