ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষকের মুখে হাসি

তিস্তা এবার পানিতে টইটম্বুর

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৩ মার্চ ২০১৬

তিস্তা এবার পানিতে টইটম্বুর

তাহমিন হক ববী, নীলফামারী ॥ নদী থেকে প্রধান খাল, দ্বিতীয় খাল,মেজর খাল, শাখা খাল,সব ধরনের খাল এখন পানিতে ভরা। সেচ নির্ভর বোরো আবাদে এবার দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের কমান্ড এলাকার কৃষকদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। বোরো আবাদের এখন মুখ্য সময়। বেড়ে উঠছে ধানের সবুজ চারা। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ঘরে উঠবে এই ধান।এবার তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার কৃষকরা সুফলভোগ করছে । মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তিস্তা সেচ প্রকল্পের এলাকার বোরো ক্ষেতে পর্যাপ্ত সেচ পাচ্ছে কৃষক। কৃষকরা বলছে শুস্ক মৌসুমে তিস্তা সেচ প্রকল্পের সেচে জয় জয়কার তারা। সুত্র জানায়, উজান থেকে এবার শুস্ক মৌসুমে পানি এসেছে ও আসছে। নদীর প্রবাহের সাথে সেচ প্রকল্পের ৭১০ কিলোমিটার জুড়ে সকল সেচ ক্যানেল পানিতে টইটম্বুর। একই সুত্র মতে, গত কয়েক বছরে শুস্ক মৌসুমে তিস্তায় পানির প্রবাহ ছিল গড়ে তিনশ’ কিউসেক। এবার ঘটেছে ব্যাতিক্রম। কোন দিন আড়াই হাজার কিউসেক পর্যন্ত পানি এসেছে। তবে গড়ে পানি প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে দেড় হাজার কিউসেক। এক হাজার কিউসেকের নিচে পানি নেমে আসেনি। তিস্তা সেচ ক্যানেলের ধারে দুন্দিবাড়ি গ্রামের কৃষক মোমেন আলী( ৪৩) বললেন, বোরো আবাদে গত কয়েক বছর তিস্তার পানি চাহিদা মত পাওয়া যায়নি। এবার সেচের জন্য কোন চিন্তা করতে হয়নি। তিস্তা সেচখাল পানিতে ভরে গেছে। এখন সেচের পানি রাখার জায়গা নাই। এই কৃষক বললেন প্রধান ক্যানেল থেকে সকল ক্যানেলে তিস্তার সেচের পানিতে ভেসে যেতে বসেছে।তিস্তাপাড়ের ভাষানীর চরের নৌকা মাঝি হারুন (৪৮) বললেন, এবার শুস্ক মৌসুমে নদীতে উজানের পানি প্রবাহ থাকায় বড় ছোট সব ধরনের নৌকা চালানো সম্ভব হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের সম্প্রসারন কর্মকর্তা রাফিউল বারী জানান, মুলতঃ তিস্তা ব্যারাজ খরিপ ২ মৌসুমের জন্য নির্মিত। অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির অভাব দেখা দিলে কৃষকরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেচ পাবেন। যাতে আমন ধান তারা পরিপূর্ণভাবে আবাদ করতে পারেন। তিনি বলেন তিস্তা নদীতে পানি সংকটের কারনে কৃষকরা পর্যাপ্ত সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় গত কয়েক বছর ধরে। এবার নদীতে পানি সংকট ছিলনা।
×