ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা

প্রকাশিত: ০০:২৩, ২৩ মার্চ ২০১৬

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দ্রুত নগরায়ন, ঘনবসতি, শিল্পাঞ্চল, বিপুল মানুষের চাপের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় ঢাকা বিভাগে যক্ষ্মারোগী শনাক্তের তুলনামূলক উচ্চহার এ পরিস্থিতির সাক্ষ্য দিচ্ছে। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০১৬ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মোঃ কামরুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনটিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কনসালট্যান্ট ডা. মজিবুর রহমান, গ্লোবাল ফান্ড ও এমডিআরটিবির উপদেষ্টা ডা. আব্দুল হামিদ সেলিম, সিস্টেমস ফর ইমপ্রুভড অ্যাকসেস টু ফার্মাসিটিক্যালস অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রোগ্রাম - ম্যানেজমেন্ট সাইন্সেস ফর হেলথ (এসআইএপিএস - এমএসএইচ) এর কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর জাহেদুল ইসলাম, ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম হেড ডা. শায়লা ইসলাম প্রমুখ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনটিপির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোঃ আশরাফ উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার ডা. কাজী আল মামুন সিদ্দিকী। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে যক্ষ্মা শনাক্তের হার বাড়ছে। গত বছর ১ লাখ শনাক্ত হলেও এই বছর ২ লাখ শনাক্ত হয়েছে। যক্ষ্মা দ্রুত ও কার্যকর উপায়ে শনাক্তের জন্য চলতি বছর জুন নাগাদ আরো ১০টি জিন এক্সপার্ট মেশিন সংযুক্ত করা হচ্ছে। এনটিপির লাইন ডিরেক্টর ডা. মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, শুধু সরকারের পক্ষে এককভাবে যক্ষ্মার কার্যকর মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এজন্য সরকারের সহায়তায় ব্র্যাকসহ অন্যান্য সংস্থা কাজ করছে। তবে যক্ষ্মা দ্রুত নির্মূল করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো হচ্ছে দারিদ্র্য আরো কমিয়ে আনা, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাস, যক্ষ্মা সম্পর্কে সামাজিক কুসংস্কার দূর করা, আরো কম সময়ে শনাক্তকরণ পরীক্ষার প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও তা প্রয়োগের ব্যবস্থা করা, আরো কার্যকর ওষুধ উদ্ভাবন ইত্যাদি।
×