স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শিক্ষা বোর্ডে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ভুলে ভরা সাড়ে ৯শ’ নিবন্ধন কার্ড দেয়া হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। ওই নিবন্ধন কার্ড অনুযায়ী ভুলে ভরা প্রবেশপত্র পৌঁছবে শিক্ষার্থীদের হাতে। এ জন্য শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ দায়ী করেছে শিক্ষকদের। তবে শিক্ষকরা জানান, নিবন্ধন কার্ড ও প্রবেশপত্র ভুলের জন্য শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও কলেজের শিক্ষকরা উভয়ই দায়ী। যশোর সরকারী এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মিজানুর রহমান জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্ড ও প্রবেশ পত্র ভুলের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ উভয় দায়ী। কারণ কলেজের অনলাইন থেকে শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো তথ্যে কিছু ভুল থাকতে পারে। আবার কলেজ থেকে সঠিক তথ্য দেয়ার পরও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন কার্ড ছাপাতে ভুল করে। এ জন্য তারা এককভাবে শিক্ষকদের দায়ী করতে পারেন না। একই কথা জানান, যশোর সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সেলিনা ইয়াসমিন। শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অমল কুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্ড তৈরির তথ্য শিক্ষকরা অনলাইনে শিক্ষা বোর্ডে পাঠান। সেই তথ্যানুযায়ী নিবন্ধন কার্ড ছাপানো হয়। একই তথ্যে ছাপানো হয় প্রবেশপত্র। শিক্ষকদের পাঠানো তথ্যে ভুল থাকায় নিবন্ধন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে ভুল হয়। এখানে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কোন দোষ নেই। একই কথা জানান শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র।
কিশোরগঞ্জে ২৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২৪ মার্চ ॥ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন-লতিবাবাদ ইউনিয়নে আশরাফুল আলম, মোহাম্মদ জামালউদ্দিন ও কামাল উদ্দিন, বিন্নাটীতে এবিএম মহিউদ্দিন আহাম্মদ বাদল ও মোঃ আক্তারুজ্জামান, রশিদবাদে একেএম রেজাউল হক ইকবাল ও দেলোয়ার হোসেন, বৌলাইয়ে তোফাজ্জল হোসেন কাদের, নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম বাবুল ও হাদিউল ইসলাম, চৌদ্দশতে বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ করিম ও জাহাঙ্গীর আলম, মহিনন্দে বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুল হুদা, হোসাইন আহমেদ শামীম, কর্শাকড়িয়াইলে কামাল উদ্দিন, মুর্শিদ উদ্দিন ভূঁইয়া, মোস্তফা কামাল ও শরীফুল ইসলাম, যশোদলে শামছুল হুদা ও রোকন উদ্দিন, দানাপাটুলীতে আরিফুল হক এবং মারিয়া ইউপিতে মোঃ মুনতাজ।
করতোয়া নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী অবৈধ দখলদার মুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু“ হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেটের নেতৃত্বে সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। শহরের মালতিনগর এলাকা থেকে শুরু করে মাটিডালি পর্যন্ত ১৯টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে এই অভিযান শুরু হয়েছে। তবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলেও এর স্থায়িত্ব ও সফলতা নিয়ে জনমনে সংশয়ের রেশ কাটছে না। কারণ এর আগেও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান হলেও তা কিছু দিন পরেই আবার পূর্ব অবস্থায় ফিরে যায়।
অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এককালের প্রমত্তা করতোয়া নদী এখন শীর্ণকায় এক খাল।
কাজীপুর থানার ওসি প্রত্যাহার
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ দায়িত্বে অবহেলা এবং যানবাহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার রাতে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। মিজানুর রহমান খানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
কাজীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহেদুজ্জামানকে সাময়িকভাবে ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: