ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অনিবন্ধিত সিম ৩০ এপ্রিলের পর পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে ॥ তারানা

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২৫ মার্চ ২০১৬

অনিবন্ধিত সিম ৩০ এপ্রিলের পর পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে ॥ তারানা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে চায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে যারা সিম নিবন্ধন করবেন না তাদের ফোন সাময়িকভাবে বন্ধ করার মাধ্যমে সঙ্কেত দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে অনিবন্ধিত সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এরিকসন বাংলাদেশের কার্যালয় ও ‘ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) পোর্টাল’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি সিম নিবন্ধনসহ টেলিযোগাযোগ উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। সিম নিবন্ধন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩০ এপ্রিলের পর অনিবন্ধিত সিমগুলোতে সঙ্কেত পাঠানো হবে। কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে সিম। এভাবে সঙ্কেত পেলে সিম গ্রহীতা তার সিম নিবন্ধন করে নেবেন। আর যে সমস্ত সিম নিবন্ধিত হবে না সেগুলো একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যাবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ দিতে অনেকের আপত্তি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমের তথ্য সরাসরি এনআইডিতে যাচ্ছে। অন্য কোথাও সংরক্ষিত হচ্ছে না। ফলে এ নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন। বিটিআরসি ও টেলিটকের সেবার মান বাড়ানোর প্রসঙ্গও উঠে আসে আলোচনায়। এক্ষেত্রে তিনি জানান, টেলিটককে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের জন্য উপযুক্ত করে তোলাসহ অনেক কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই টেলিটকের সিম, রিটেইলার ও কাস্টমার কেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। টেলিটকের রিব্র্যান্ডিং হয়েছে। এ অপারেটরের নেটওয়ার্ক যেন একেবারে নিরবচ্ছিন্ন থাকে সে ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে। টেলিটকের প্রাথমিক বিনিয়োগ কম ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে সহায়তা চাইব। তা না হলে বাইরে থেকে সফট লোন গ্রহণের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক উন্নত করব। টেলিটকের নেটওয়ার্ক ২ পয়েন্ট ৫ জি থেকে ৩জি সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। কল ড্রপ হচ্ছে কিনা এবং হলে এক্ষেত্রে গ্রাহক ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে কিনা তা বিটিআরসি মনিটরিং করবে বলেও মন্ত্রী জানান। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সকল ফ্যাক্টরি, বিজনেস কমিউনিটি, প্রতিটি স্থান ও রাজপথ ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় চলে আসবে বলে তিনি আশস্ত করেন।
×