ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রায়পুর আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে বিপজ্জনক বাকেঁ ঘটছে দূর্ঘটনা ॥ উদ্যোগ নেই সংস্কারের

প্রকাশিত: ০১:১৭, ২৫ মার্চ ২০১৬

রায়পুর আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে বিপজ্জনক বাকেঁ ঘটছে দূর্ঘটনা ॥ উদ্যোগ নেই সংস্কারের

সংবাদদাতা, রায়পুর ॥ রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর-বেগমগঞ্জ ও মজুচৌধুরী হাট আঞ্চলিক মহাসড়কে শতাধিক বিপজ্জনক বাকেঁর কারনে সড়ক দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও তা সংস্কারের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বর্তমানে এই আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা তিন থেকে চারগুন বৃদ্ধি পেলেও কাংখিত উন্নয়ন ও সড়ক প্রশস্ত করা হয়নি। মহাসড়কের রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর-বেগমগঞ্জ ও মজুচৌধুরী হাট পর্যন্ত প্রায় দু’শ কিলোমিটারে শতাধিক বিপজ্জনক বাকঁ রয়েছে। এর ফলে গত এক বছরে দু’শতাধিক সড়ক দূর্ঘটনায় শতাধিত যাত্রী ও পথচারি নিহতসহ আহত হয়েছেন অনেকে। ব্যস্ততম এ আঞ্চলিক মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন, চালকের অদক্ষতা, গতিশীলতা, সাবধানতা অবলম্বন না করা, ওভারটেকিং ছাড়াও সড়ক দূর্ঘনার জন্য ৬০ শতাংশই দায়িী এই সড়কের বিপজ্জনক বাঁক। এসব বাকেঁর বেশীর ভাগই অত্যধিক ঝুকিপূর্ন বাকা থাকায় বিপরীত দিকথেকে অসা কোন যানবাহনই অপরদিক থেকে দেখা যায় না। এর ফলে এসব বাকে প্রতিনিয়ত মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসব সড়কের বিপজ্জনক বাকঁগুলো হল- সেবা হাসপাতাল সংলগ্ন, বাসাবাড়ী, রাখালিয়া, পাটোয়ারী রাস্তার মাথা. দালাল বাজার, মাইলের মাথা, ইটেরপুল, লেংড়া বাজার, সিংহের পুল, বর্ডার বাজার, ধানুয়া বাজার সংলগ্ন, বটতলী, মান্দারী, জকসিন, সহ প্রায় শতাধিক বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। ফলে এসব বাঁকে প্রতিনিয়ত যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্স ঘটছে। সিরাজ ভূইয়া ও বিল্লাল হোসেন নামে দুই বাস চালক জানান, বিভিন্ন কারনে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে এবং অন্যতম হলে বিপজ্জনক বাঁক। তাছাড়া সড়ক বিভাগ সড়ক নির্মানের পর রক্ষনাবেক্ষন ও সুষ্ঠু তদারকি না থাকায় এ দুর্ঘটনা বাড়ছে। ঢাকা-রায়পুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানভির হায়দার চৌধুরী রিংকু বলেন, আগের তুলনায় এ মহা সড়কে যানবাহন কয়েকগুন বেড়েছে। সে অনুযায়ী সড়ক প্রশস্ত করা ও বিপজ্জনক বাঁক সোজা না করায় দূঘটনা ঘটছে। তিনি দূঘটনা এড়াতে অবিলম্বে সড়কের বাঁক সোজা করার দাকি জানান। লক্ষ্মীপুর ট্রাফিক ইনচার্জ টিআই আব্দুল হক বলেন, এ আঞ্চলিক মহা সড়কের দূর্ঘটনার ৭০ ভাগই বিপজ্জনক বাঁকের কারণে ঘটছে। পাশাপাশি চালকদের অদক্ষতা, ফিটনেসবিহীন গাড়ী ও অত্যধিক গতিশীলতাতো আছেই। এআঞ্চলিক মহাসড়কের শতাধিক কিলোমিটার সড়কে শতাধিক বাঁক সোজা করণ প্রসঙ্গে লক্ষীপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ৯৫ শতাংশ ওভারটেকিং ও গতিশীলতার কারনে এ দুঘটনাগুলো হচ্ছে। কুমিল্লা জোনের আওতাধিন আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে বাকগুলো সোজাকরণ ও রাস্তা প্রশস্ত করতে নিয়ে ২৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে প্রকল্পটি অনুমোদন পাব আশা করছি।
×