ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

প্রকাশিত: ০২:৩১, ২৫ মার্চ ২০১৬

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

অনলাইন ডেস্ক ॥ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি দিনটিতে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। ৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শনিবার লাখো মানুষের ঢল নামবে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। এজন্য এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ। জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদন নির্বিঘ্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া সাদা পোশাকেও র্যাব-পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে শতাধিক সিসি ক্যামেরা। স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৗশলী মিজানুর রহমান জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে প্রস্তুত করতে ১৫ দিন আগে থেকেই ধোয়া-মোছা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২৩ মার্চ থেকে সাধারণ জনগনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে স্মৃতিসৌধকে পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। পুরো স্মৃতিসৌধকে নতুন রঙে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রতিবারের মতো এবারো আইন-শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধ এলাকায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তিনটি ইউনিটকে ব্যবহার করে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। শুক্রবার রাত থেকেই স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। এদিকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন। ২৬ মার্চ সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে পুষ্পার্ঘ অর্পন করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতায় থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিবেদন করবেন বীর শহীদদের প্রতি। প্রতিবছরই বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করে গোটা জাতি। পৃথক বাণী দেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা। সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হয় বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র। বিশেষ আয়োজন থাকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও। সরকারি ছুটির এই দিনটিতে ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। সূত্র : জাগোনিউজ
×