স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই দেশের বন্ধুত্বের মাত্রা আরও উচ্চতর রেখায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়াতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, সাফটা চুক্তির আওতায় ভারতে আমাদের ২৫টি পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে পণ্য রফতানিতে স্থানীয় শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের অভিযোগের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কাস্টম সারচার্জ, বেসিক কাস্টম ডিউটি, এডিশনার ডিউটি ও কাউন্টার ভেইলিং ডিউটি শুল্কারোপের মাধ্যমে বাণিজ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হচ্ছে না। এতে ভারত সরকারকে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতার ৪৬ বছর উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শুক্রবার সন্ধায় রাজধানীর শিশু একাডেমিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের পর নৃত্যের তালে পরিবেশিত হয় মৈত্রী সঙ্গীত। এরপর উপস্থিত অতিথিরা প্রদীপ প্রজ্বালন করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বেদের মেয়ে অবলম্বনে সৈয়দ শামসুল হকের ‘চম্পাবতী‘ নাটক মঞ্চায়িত হয়।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি এমিরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ভারত হাইকমিশনের ডেপুটি কমিশনার ড. আদর্স সওয়াইকা। আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুবির কুশারি।
নিরাপত্তার অজুহাতে পরীক্ষণের নামে অযথা সময়ক্ষেপণের প্রবণতা পরিহারে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পণ্যের গুণ ও মান সম্পর্কিত অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ এবং সমন্বিত আন্তঃসীমানা ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে। দুই দেশের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে প্যারাট্যারিফ ও ননট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা পরিহারের উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতকে আরও আমদানি পরিমাণ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। কিন্তু ভারতে রফতানি করেছে মাত্র ৪৫৬ মিলিয়ন মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ ভারত থেকে তিন হাজার আইটেম পণ্য আমদানি করে। অনুরূপভাবে ভারত যদি আমাদের ব্যবহারিক দ্রব্য আমদানির পরিমাণ বাড়ায় ও শুল্কবান্ধব হয় তবে দুই দেশের বন্ধুত্বের মাত্রা উচ্চতর রেখায় পৌঁছে যাবে।