ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

র‌্যাবের পরিকল্পনায় সর্বাধিক গুরুত্ব জঙ্গি দমন: বেনজীর

প্রকাশিত: ২০:০৫, ২৬ মার্চ ২০১৬

র‌্যাবের পরিকল্পনায় সর্বাধিক গুরুত্ব জঙ্গি দমন: বেনজীর

অনলাইন রিপোর্টার॥ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন র‌্যাবের মৌলিক কাজ। তাই জঙ্গিবাদ দমনকে সর্বাধিক গুরুত্ব নিয়ে নতুন বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার র‌্যাবের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি। র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই র‌্যাব জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে কাজ করছে। ১২ বছর আগে স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল র‌্যাব। দেশের মানুষের সহযোগিতায় এতো পথ পেরিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে র‌্যাব। এজন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই, আশা করছি ভবিষ্যতেও তোদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। র‌্যাবের গোয়েন্দা সক্ষমতা সম্পর্কে বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, ক্রিমিনালদের শনাক্ত ও জঙ্গিবাদ দমনে গোয়েন্দা তৎপরতার বিকল্প নেই। তবে র‌্যাব সব ঘটনার তদন্ত করে না। নির্বাচিত মামলা তদন্ত করে থাকে। শুধু রাষ্ট্র ও সরকার কর্তৃক অর্পিত মামলার তদন্ত করা হয়। তবে এর সংখ্যাও কম নয়। এখন পর্যন্ত র‌্যাবের তদন্ত সন্তোষজনক। তবে আগামীতে যেন আমরা আরও ভালো কিছু করতে পারি সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যোগ করেন তিনি। র‌্যাবকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বেনজীর আহমেদ বলেন, নারী, বৃদ্ধ ও শিশু নির্বিশেষে দেশের সব জনগণ দিনের যে কোনো সময় নিরাপত্তা নিয়ে চলাচল করতে পারবে, আমরা সবার সহযোগিতায় এমন সমাজ বিনির্মাণে কাজ করছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, র‌্যাব একটি এলিট ফোর্স। ৭টি বাহিনী ও ৮টি প্রতিষ্ঠান মিলে র‌্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়। সব বাহিনীর নির্বাচিত সদস্যরা র‌্যাবে কাজ করছেন। র‌্যাবের রয়েছে দেশের সর্বাধুনিক ফরেনসিক ল্যাব। তৈরি করা হয়েছে ক্রিমিনাল ডেটাবেইজ। সম্প্রতি জেল ডেটাবেইজ তৈরির কাজও সম্পন্ন হয়েছে। কুমিল্লায় তনু হত্যা সম্পর্কে বেনজীর আহমেদ বলেন, র‌্যাব ঘটনার পর থেকেই ছায়া তদন্ত করছে। শিগগির হয়তো ভালো খবর দিতে পারবো আশা করছি। জঙ্গিবাদের কোনো বর্ডার নাই। আমাদের প্রতিবেশী দেশ কিংবা দূর প্রতিবেশী দেশ সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে আক্রান্ত হয়, তখন আমরা সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করি। এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা কৌশল ও ব্যবস্থাপনা হালনাগাদ করি। এ সময় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন, দক্ষিণাঞ্চলে দস্যুতা ও মানবপাচার দমন, ইয়াবসহ মাদকের আগ্রাসন দমন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি দমন, নিজস্ব গোয়েন্দা সক্ষমতা বাড়ানো, চলমান সংস্কার কার্যক্রম আরও বেগবান করা এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে জনগণের সঙ্গে আরও কার্যকর সম্পর্ক উন্নয়ন করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে র‌্যাবে সব ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×