ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এক কোম্পানি তালিকাভুক্তি দিয়ে ইয়াংগুন স্টক একচেঞ্জের লেনদেন শুরু

প্রকাশিত: ০০:৩০, ২৬ মার্চ ২০১৬

এক কোম্পানি তালিকাভুক্তি দিয়ে ইয়াংগুন স্টক একচেঞ্জের লেনদেন শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উদ্বোধনের ৩ মাস পর প্রথম লেনদেন চালু করেছে মিয়ানমারের ইয়াংগুন স্টক একচেঞ্জ। মাত্র একটি কোম্পানি তালিকাভুক্তিকরণের মধ্য দিয়ে এই বাজার শুরু হয়। শুক্রবার বিবিসি, গলফনিউজসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের যাতাকল থেকে এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির মোড় ঘুরবে বলে মনে করছেন অর্থ বিশ্লেষকরা। নির্বাচনে সদ্য জয়ী অং সাং সু চির এনএলডি দল যখন দেশটির ক্ষমতা নিতে যাচ্ছে- ঠিক সেই মুহূর্তে অর্থনীতির চাকা ঘুরানোর প্রথম সিঁড়িতে পা রাখল মিয়ানমার। মিয়ানমারের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রধান মুয়াং মুয়াং থিয়েন বলেন, এই দিন আমাদের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমরা গর্বিতভাবে বিশ্বকে জানান দিতে চাই- এখন আমরা আর পশ্চাৎমুখী দেশ নই, আমরাও আজ ব্যবসায়ী নেতাদের মুকুট পরেছি। খবরে বলা হয়, প্রথম দিনেই মিয়ানমারের বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি। আবাসন, বিমান ব্যবসা, স্বাস্থ্যসহ বেশ কয়েকটি খাতে ব্যবসা করে কোম্পানিটি। ইয়াংগুন স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্যমতে, শুক্রবার শেয়ার সূচক ১৯.২ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধির মাধ্যমে লেনদেন শেষ করে। এর আগে কোম্পানিটির উদ্বোধনের সময় মিয়ানমারের অর্থমন্ত্রী উইন শিয়েন বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশিয় কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এই বাজার খুলতে যাচ্ছে। কোম্পানিগুলোর মূলধন সংগ্রহে এই স্টক এক্সচেঞ্জ সহায়ক হবে। একইসঙ্গে তা এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে বলে আশা করছে সরকার। এপির এক খবরে বলা হয়, প্রায় ৫ দশকের সামরিক শাসনের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে একঘরে অর্থনীতির দেশ মিয়ানমার ২০১০ সালে কাগজে কলমে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু করে। এর আগ পর্যন্ত দেশটির অর্থনীতি একরকম থমকে ছিল। সামরিক শাসনামলেও দেশটিতে একটি স্টক এক্সচেঞ্জ ছিল। কিন্তু, এটা কিছু কোম্পানিকে আকর্ষণ করতে পেরেছিল; যেগুলো এখন প্রায় অস্তিত্বহীন। জাপানের সহায়তায় এই নতুন এক্সচেঞ্জ চালু হচ্ছে জানিয়ে উইন শিয়েন বলেন, মায়ানমারের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সংশ্লিষ্ট আইন-কানুনেও পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়া চলছে।
×