ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতার গান কবিতা নৃত্য চিত্রমালায় রঙিন শহর

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৭ মার্চ ২০১৬

স্বাধীনতার গান কবিতা নৃত্য চিত্রমালায় রঙিন শহর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহরের ছড়িয়েছে রঙের আভা। বয়ে গেছে প্রাণের উচ্ছলতা। আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জনের দিনটি উদ্্যাপিত হয়েছে আনন্দের আবহে। শনিবার ছিল ৪৫তম স্বাধীনতাবার্ষিকী। সকাল থেকে রাত অবধি নানা আয়োজনে মুখরিত ছিল রাজধানীর সংস্কৃতি ভুবন। বাঙালীর বীরত্বগাথার সাক্ষ্যবহ স্বাধীনতার রং মেখে গান কবিতা চিত্রমালার স্রোতধারায় রঙিন হয়েছে শহর। গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নাচের মুদ্রায় কিংবা বক্তার কথা উচ্চারিত হয়েছে একাত্তরের মহাকাব্যিক অধ্যায়। শিল্পীর রং-তুলির আঁচড়ে উদ্ভাসিত হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রাম। সেলুলয়েডে প্রদর্শিত হয়েছে যুদ্ধ দিনের সংগ্রামী দৃশ্যকল্প। দিনের প্রথম ভাগ সকালে শিশুদের গান-কবিতা ও নাচের তালে সরব হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আঙিনা। বিকেলে শহীদ মিনারে গান কবিতা কিংবা নৃত্য পরিবেশনায় উদ্্যাপিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বৈচিত্র্যময় পরিবেশনায় উঠে এসেছে একাত্তরের বীরত্বগাথা। বাংলা একাডেমির স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় বক্তাদের মুখে উচ্চারিত হয়েয়ে গৌরবময় ইতিহাসের কথা। সব মিলিয়ে স্বাধীনতা দিবসে একাত্তরের প্রেরণাদায়ী বহুমাত্রিক পরিবেশনায় স্পন্দিত হয়েছে শহরের সংস্কৃতি ভুবন। শহীদ মিনারে স্বাধীনতা উৎসব ॥ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তিন দিনব্যাপী স্বাধীনতা উৎসবের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’ সেøাগানে জোটের স্বাধীনতা উৎসবের সমাপনী দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ধানম-ির রবীন্দ্র সরোবরে ছড়িয়ে পড়ে উদ্দীপ্ত প্রাণের স্পন্দন। বসন্ত বিকেলে শহীদ মিনারে একাত্তরের চেতনাদায়ী গান, কবিতার সঙ্গে নৃত্যের ঝংকারে মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ। নানা পরিবেশনার ভেতর দিয়ে প্রকাশিত হয় অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রতিবাদ। স্বাধীনতা দিবস উদ্্যাপনের রাঙা মন নিয়ে বিকেল থেকে রাত অবধি হাজার দর্শক-শ্রোতা উপভোগ করেছে উন্মুক্ত এই উৎসব। চৈতালী বিকেলে শিশুদের পরিবেশনায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। আগামীর পথে এগিয়ে চলার প্রত্যাশা ব্যক্ত হয় ছোটদের নৃত্য পরিবেশনায়। ও আলোর পথযাত্রী এখানে থেম না এবং নোঙর তোলো তোলো সময় যে হলো হলো গানের সুরে নাচ করে ভোরের পাখি সংগঠনের শিশু শিল্পীরা। অশুভের বিরুদ্ধে অভয় বাণী জানিয়ে আশিকুর রহমান গেয়ে শোনানÑ নাই নাই ভয় হবে হবে জয় এবং আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে শিরোনামের দু’টি গান। শিশুদের আবৃত্তি দল ঋদ্ধস্বরের পরিবেশনায় উঠে আসে বাঙালীর বীরত্বের সাক্ষ্যবহ বায়ান্ন থেকে একাত্তর। খুদে বাকশিল্পীদের কণ্ঠ আশ্রিত কবিতার দোলায়িত ছন্দে উপস্থাপিত হয় ‘ইতিহাস ভাষার লড়াই থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ’ শীর্ষক আবৃত্তি প্রযোজনা। জনপ্রিয় নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরার নেতৃত্বে সম্মেলক সঙ্গীত পরিবেশন করে সঙ্গীতদল সুরসপ্তক। আলোড়িত প্রাণের উচ্চারণে অনেকগুলো কণ্ঠ এক সুরে গেয়ে শোনায়Ñ মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম. মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল/মোরা বিধাতার মত নির্ভয়, মোরা প্রকৃতির মত সচ্ছল ...। পরের গানে দলটি মেলে ধরে প্রত্যাশার দিগন্ত। সমবেত সুরে গেয়ে যায়Ñ পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে ...। রকমারি পরিবেশনার পাশাপাশি প্রতিবাদী আবহ ছিল অনুষ্ঠানজুড়ে। সেই রেশ ধরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী এবং নাট্য ও আবৃত্তিশিল্পী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকা-ের প্রতিবাদে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন। শহীদ মিনারের স্বাধীনতা উৎসবে একক কণ্ঠে গান শোনান ফেরদৌস আরা, সমর বড়ুয়া, শিবু রায়, আব্দুল ওয়াদুদ ও অর্পণা খান। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী, সুরতাল ও জাগো আর্ট সেন্টার। দলীয় আবৃত্তি উপস্থাপন করে স্বরশ্রুতি, স্রোত আবৃত্তি সংসদ, চারুকণ্ঠ ও প্রজন্ম। একক কণ্ঠে আবৃত্তি করেন মাহফুজ রিজভী, বাপ্পী আকন্দ, জি এম মোরশেদ ও মাসুম চৌধুরী। শিশু সংগঠনের পরিবেশনায় অংশ নেয় মৈত্রী শিশুদল। মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির প্রকাশে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যাক্ষ ও ভোরের পাখি। সব শেষে নাট্যযোদ্ধা শীর্ষক পথনাটক পরিবেশন করে পদাতিক নাট্য সংসদ। রবীন্দ্র সরোবরের অনুষ্ঠানমালায় দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সুরবিহার, আনন্দন ও স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র। একক কণ্ঠে গান মোনান বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, আরিফ রহমান, ফেরদৌসী কাকলি ও স্বাতী সরকার। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, স্বনন ও উদ্ভাসন। একক কণ্ঠে আবৃত্তি করেন লুনা শিকদার ও কাজী রাজেশ। সপ্তকলির আসর অংশ নেয় শিশু সংগঠনের পরিবেশনায়। নাচ করে নটরাজের শিল্পীরা। রঙ্গপীঠ শিরোনামের পথনাটক উপস্থাপন করে থিয়েটার আর্ট ইউনিট। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্বাধীনতা উৎসব ॥ স্বাাধীনতা দিবস ও বিংশতিতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী স্বাধীনতা উৎসবের পঞ্চম দিন ছিল শনিবার। এদিন সকালে সেগুন বাগিচার জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। শিশু-কিশোর আনন্দ আয়োজনে সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে কল্পরেখা, ইউরিকো এ্যাঞ্জেলস স্কুল, খেলাঘর, বাড্ডা আলাতুন্নেসা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নৃত্যজন। দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় ‘মহুয়ার পালা’ পরিবেশন করে মানিকগঞ্জের মুকুল নৃত্যকলা একাডেমি। মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে সপ্তসুর সঙ্গীত একাডেমি, উইথ লিভিং লিজেন্ড, কথাসুর সাংস্কৃতিক সংগঠন, চারুলতা একাডেমি, বধ্যভূমির সন্তানদল, মিরপুর সংস্কৃৃতি একাডেমি, ঘাসফুল শিশু-কিশোর সংগঠন ও মিরপুর সাংস্কৃতৃতিক ঐক্য ফোরাম। স্বাধীনতা দিবসে শিল্পকলার আয়োজন ॥ স্বাাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তিন দিনের আয়োজনের শেষ দিন ছিল শনিবার। একাডেমির নন্দনমঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে আয়োজন শুরু হয়। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল, ধৃতি, নন্দন কলাকেন্দ্র ও স্পন্দন। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন নির্মলেন্দু গুণ, রবিউল হুসাইন ও ড. মুহাম্মদ সামাদ। আবৃত্তি করেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, মো. আহ্কাম উল্লাহ্্, কৃষ্টি হেফাজ, লায়লা আফরোজ ও শিমুল মুস্তাফা। স্বাধীনতা দিবসে ছায়ানটের অনুষ্ঠান ॥ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে ঐতিহ্যাবাহী সংগঠন ছায়ানট। ছোট ও বড়দের সম্মেলক গান এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনী দিয়ে সাজানো হয় আয়োজন। অনুষ্ঠানে সূচনা হয় ছোটদের ছোটদের সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে। অনেকগুলো কচি কণ্ঠ এক সুরে গেয়ে শোনান ‘আমি ভয় করব না’ ও ‘বাংলাভূমির প্রেমে আমার’ গান দুটি। এরপর প্রদর্শিত হয় তারেক মাসুদ নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘মুক্তির গান’। ছায়ানটের জ্যেষ্ঠ শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দিব’ ও ‘বাংলা মা’র দুর্ণিবার আমরা তরুণ দল’ শীর্ষক দু’টি গান। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসিÑএই অমর বাণীর সুরাশ্রয়ে জাতীয়সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান । বাংলা একাডেমিতে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা ॥ স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে শনিবার বিকেলে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। একাডেমির নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও অধ্যাপক মমতাজ লতিফ। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। শুরুতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী কল্যাণী ঘোষ, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, রূপা ফরহাদ ও মনোরঞ্জন ঘোষাল। আলোচনায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তাকে ব্যর্থ করতে পঁচাত্তরের পর থেকে স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানবাদী চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরা বারবার ছোবল মারছে আমাদের সমস্ত অর্জনে। এদের বিচারের দাবিতে বাঙালী জাতি যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের আরও কিছু শত্রু যেমন সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি, অশিক্ষা, জঙ্গীবাদ, বৈষম্য ইত্যাদির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে। তাঁরা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক এদেশের কৃষক, শ্রমিক এবং খেটে খাওয়া মানুষ তাদের প্রাপ্য স্বীকৃতি পায়নি। স্বাধীনতা লাভের পর গত পঁয়তাল্লিশ বছরে ধনী-গরিবের বৈষম্য প্রকট হয়েছে, সমাজ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বত্র লুটেরা শ্রেণী তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে এবং স্বাধীনতার সুফল এদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এখন প্রয়োজন সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন এবং সমাজ-রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সুশাসন ও সমতা নিশ্চিতকরণ। ‘রং তুলিতে মুক্তিযুদ্ধ’ ॥ স্বাধীনতা দিবসে চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে ও আইএফআইসি ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘রং তুলিতে মুক্তিযুদ্ধ’। শিল্পীর তুলির আঁচড়ে মেলে ধরা হয় স্বাধীনতার চিত্রমালা। সকালে এ অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক সৈয়দ হাসান ইমাম, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার, আফজাল হোসেন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, কণ্ঠযোদ্ধা রফিকুল আলম, চিত্রশিল্পী কনকচাঁপা চাকমা প্রমুখ। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর, সৈয়দ হাসান ইমাম ও শিমুল মুস্তাফা। দেশের গান গেয়েছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, রফিকুল আলম ও সুরের ধারার শিল্পীরা। অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় প্রয়াত চিত্রশিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা খালিদ মাহমুদ মিঠুকে। অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রকে চ্যানেল আই বিশেষভাবে সম্মানিত করেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পক্ষে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন সৈয়দ হাসান ইমাম। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ॥ স্বাাধীনতা দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজিত নয় দিনের বইমেলার শেষ দিন ছিল শনিবার। শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভা, পুরস্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল সমাপনী আয়োজনে। একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবদুল হামিদ এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে শিশু একাডেমীর প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ। দেশ অপেরার পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হয় বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক যাত্রাপালা বাংলার মহানায়ক।
×